আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও অবস্থাতেই ভারত মাথা নত করবে না বলে জানালেন, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে কোনও মূল্যে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখবে।
কোভিড পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতি ভারতের সামনে অভূতপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে দাবি করে পীযূষ বলেন, ‘‘আমরা তার সদ্ব্যবহার করতে বদ্ধপরিকর।’’ বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে অতিরিক্ত ও অনির্দিষ্ট একটি ‘জরিমানা’ (পেনাল্টি)-র কথাও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
এর পরে গত বুধবার (৬ অগস্ট) ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কের উপর আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা (অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ) আরোপ করার কথা ঘোষণা করেন। যা ব্রাজিল ছাড়া অন্যান্য সমস্ত দেশের উপর আরোপিত মার্কিন শুল্কের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি মাসের ২৭ তারিখ থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এক অর্থবর্ষে আমেরিকায় ৭.৬ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করেছে ভারত। তার মধ্যে পোশাক থেকে শুরু করে রয়েছে ওষুধপত্র, রত্ন, গয়নাগাটি এবং পেট্রোরাসায়নিক পণ্য। তা ভারতের জিডিপি-র প্রায় ২ শতাংশ।
ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যের উপর বাড়তি ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণায় সেই আয়ে টান পড়ার আশঙ্কা। যদিও পীযূষের দাবি, এর ফলে ভারতীয় পণ্যের রফতানি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি বলেন, ‘‘ভারত এখন অনেক শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী। বৃদ্ধির হার বার্ষিক সাড়ে ছ’শতাংশ, এবং আরও ত্বরান্বিত হতে চলেছে।’’ ২০০০ সাল থেকে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) শিল্পকে কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘তথ্যপ্রযুক্তিতে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।’’ গত অর্থবর্ষের তুলনায় এ বার ভারতের সামগ্রিক রফতানির অঙ্ক আরও বাড়বে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী।