মহারাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু। প্রতীকী ছবি।
কাজের খোঁজে ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এক যুবক। কাজে যোগ দেওয়ার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত যুবকের নাম যোগেন্দ্র যাদব (৩২)।
যোগেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের গঢ়বা জেলার সগমা গ্রামের বাসিন্দা। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সংসারের খরচ টানতে ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন যোগেন্দ্র। কিন্তু সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার পরই মৃত্যু হয় তাঁর।
ছেলের দেহ বাড়িতে আনতে সমস্যায় পড়েন বাবা নায়ারণ যাদব। যোগেন্দ্র যে সংস্থার হয়ে কাজ করতেন, সেই সংস্থার মালিককে অনুরোধ করেন তাঁর ছেলের দেহ বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করে দিতে। কিন্তু অভিযোগ, মালিক সেই অনুরোধে কর্ণপাতই করেননি। শেষমেশ বেসরকারি একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ছেলের দেহ আনার সিদ্ধান্ত নেন নারায়ণ। কিন্তু এখানেও তাঁকে হোঁচট খেতে হয়। ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া চাওয়া হয় ৬০ হাজার টাকা।
দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই বিপুল টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু নারায়ণ হার মানেননি। বাড়ির পাশেই তাঁর একটা জমি ছিল। সেই জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেই জমি বিক্রি করে যোগেন্দ্রর দেহ মহারাষ্ট্র থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সগমা গ্রামের প্রধান জানিয়েছেন, যোগেন্দ্রর দুই সন্তান এবং স্ত্রী রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy