বিধানসভা ভোটের আগে কর্নাটক বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ার ইঙ্গিত। ফাইল চিত্র।
ইঙ্গিত ছিল, মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত বৈঠকের পরেও কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বেশ কিছু আসনে একাধিক ‘জোরালো দাবিদার’ থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। কয়েক মাস আগেই টিকিট না পাওয়া গোঁজ প্রার্থীদের জন্য হিমাচলে হারতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সাবধানে ‘পা ফেলতে’ চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডারা।
বিজেপি সূত্রের খবর, একাধিক আসনে দলের প্রার্থিপদ নিয়ে একই পরিবারের মধ্যেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। যেমন গড়গ জেলার রন বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের বিদায়ী বিজেপি বিধায়ক কালাপ্পা বন্দি এ বারও টিকিটের দাবিদার। কালাপ্পার প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁর স্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সংযুক্তা এবং ভাই সিদাপ্পা। দু’জনেরই অভিযোগ, অতিমারি পরিস্থিতিতে রনের ভোটারদের জন্য কিছুই করেননি কালাপ্পা। আরএসএস স্বয়ংসেবক সিদাপ্পা বলেছেন, ‘‘২০ বছর ধরে দাদার জন্য অনেক করেছি। কিন্তু এখন আমি হতাশ।’’
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ভোট হতে চলেছে ১০ মে। ফলপ্রকাশ ১৩ মে। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৬৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিজেপির কেন এত দেরি? দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা যে ভাবে প্রকাশ্যে ‘সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর’ নেওয়ার কথা বলার পরেও ফের ‘সক্রিয়তা’ শুরু করেছেন, তাতেও সমস্যা বেড়েছে।
দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের মাঝপথেই সোমবার রাতে বেঙ্গালুরু ফিরে এসেছেন ইয়েদুরাপ্পা। দলের অন্দরের ‘খবর’ শীর্ষনেতৃত্বের উপর চাপ বাড়াতেই তাঁর এই কৌশল। অন্তর্ঘাতের আশঙ্কায় প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতার ‘রাশ’ টানতে ইতস্তত করছে বিজেপি হাইকমান্ড। ফলে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। ‘ইয়েদুরাপ্পা-বিরোধী’ হিসাবে পরিচিতি বিজেপি নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কে এস এশ্বরাপ্পা মঙ্গলবার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy