জনশুমারির পাশাপাশি হবে জাতগণনাও। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। এ বার কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শুধু তা-ই নয়, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে লক্ষ্যে অবিচল থাকার জন্য কুর্নিশও জানিয়েছেন তিনি। তবে সিদ্দারামাইয়ার আরও যুক্তি, জাতগণনার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত গণনাও করা উচিত কেন্দ্রের।
সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘এটা একটা ভাল বিষয় যে বিজেপি, যারা বছরের পর বছর ধরে বলে আসছে যে জাতগণনা সমাজকে তথা হিন্দুদের বিভক্ত করার একটি চক্রান্ত, তারা শেষমেশ বাস্তবকে মেনে নিয়েছে এবং জাতিগত শুমারির সামাজিক গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কর্নাটক ইতিমধ্যেই আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত গণনা পরিচালনা করেছে। গত ১৭ এপ্রিল রাজ্য মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত রিপোর্টটি উপস্থাপনও করা হয়েছে। গণনায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সিদ্দারামাইয়ার মতে, জাতগণনা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সংরক্ষণ প্রণয়নে সহায়তা করবে। সংরক্ষণের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টও জাতগণনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছিল। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বহু বছর ধরেই জাতগণনার পক্ষে সওয়াল করে আসছেন। বার বার কেন্দ্রের চাপও সৃষ্টি করেছেন তিনি। শেষমেশ কংগ্রেস ও তার নেতাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে।’’
উল্লেখ্য, বুধবার জাতগণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক কমিটি। তবে জানানো হয়েছে, জাতগণনা সংক্রান্ত তথ্য আলাদা করে প্রকাশ করা হবে না। আগামী জনগণনার সঙ্গেই এই সংক্রান্ত তথ্য সংযোজিত হবে।