৪০ কেজি বিস্ফোরক-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে! মঙ্গলবার গভীর রাতে মণিপুরের মায়ানমার সীমান্তবর্তী চূড়াচান্দপুর জেলায় তল্লাশি অভিযানের সময় সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চালানো হয়েছে কাংপোকপি জেলাতেও। মঙ্গলবার রাতেই বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চূড়াচান্দপুরের গেলমল গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া এই অস্ত্রের মধ্যে প্রায় ৪০ কেজি বিস্ফোরক-সহ একটি দূরপাল্লার রকেট, বহু ব্যাটারি এবং বিস্ফোরকে মেশানোর জন্য পাঁচটি বালির বস্তা রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সমাজমাধ্যমে বাজেয়াপ্ত হওয়া সব অস্ত্রের ছবি পোস্ট করেছে মণিপুর পুলিশ।
আরও পড়ুন:
আরও জানানো হয়েছে, শুধু চূড়াচান্দপুর নয়, কাংপোকপি জেলার গেলবাঙের জঙ্গল থেকেও বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। কাংপোকপি থেকে বাজেয়াপ্ত অস্ত্রের মধ্যে একটি সিএমজি কার্বাইন এবং ম্যাগাজিন, একটি ০.৩০৩ রাইফেল, দু’টি পিস্তল, ন’টি দেশি বোল্ট অ্যাকশন সিঙ্গেল ব্যারেল রাইফেল, বিভিন্ন ক্যালিবারের ৪৬ রাউন্ড তাজা গোলাবারুদ, ৮০টি খালি কেস, একটি দেশি গ্রেনেড, সেফটি ফিউজ় এবং ডিটোনেটর রয়েছে। মঙ্গলবারই আর একটি অভিযানে কাংপোকপি জেলার কাংচুপ থানার অন্তর্গত সোংলুং গ্রাম থেকেও বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
২০২৩ সালে কুকি-মেইতেই গোষ্ঠীহিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাজ্য জুড়ে সংঘর্ষের মাঝে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন মণিপুরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। রাজ্য বিজেপির আপত্তি সত্ত্বেও গত অগস্ট মাসে সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভা বর্তমানে রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে ‘সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন’-এ রয়েছে। তবে অশান্তি থামছে না মণিপুরে।