মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
শারীরিক সম্পর্কে মেয়েদের সম্মতির বয়স ধরা হয় ১৮ বছরকে। ১৮ বছরের আগে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই তাদের পরিচয়। এই সমীকরণ বদলাতে চায় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। তারা মেয়েদের সম্মতির বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করতে আগ্রহী। কেন্দ্রের কাছে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে আর্জিও জানিয়েছে আদালত।
একটি মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের বিচারপতি দীপক কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, ২০১২ সালে আইনের সংশোধন করে শারীরিক সম্পর্কে মেয়েদের সম্মতির বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়েছিল। তা সমাজে জটিলতা তৈরি করেছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সমাজমাধ্যম এবং অন্য প্রযুক্তির হাত ধরে আজকাল ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই দ্রুত বয়ঃসন্ধিতে পা দেয়। তাদের মানসিক বিকাশ আগের চেয়ে অনেক দ্রুত হয়। মেয়েরা ১৪ বছরের কাছাকাছি বয়সেই বয়ঃসন্ধি প্রত্যক্ষ করে। তারা সমবয়সি ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। উভয়ের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। কিন্তু আইনের চোখে ১৮ বছরের আগে মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক নয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ছেলেদের প্রতি অবিচার হচ্ছে।
১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ, ছ’মাস ধরে টানা তিনি ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ওই বছরের জুলাইতে যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পকসো আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। তিন বছর ধরে তিনি জেল খাটছেন, জামিন পাননি।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলার ক্ষেত্রে যুবকের কোনও দোষ নেই। পারস্পরিক সম্মতিতেই কিশোরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যুবকের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না বলে মনে করেছেন বিচারপতি। তিনি অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন যাতে মেয়েদের সম্মতির বয়স কমিয়ে ১৬ করা হয়। তবেই কমবয়সি ছেলেদের প্রতি ‘অবিচার’ বন্ধ করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy