৬ বছর পর শাস্তি পেলেন মেয়ে এবং শাশুড়িকে খুনে অভিযুক্ত যুবক। প্রতীকী ছবি।
শাশুড়ি এবং নিজের মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল যুবককে। ঘটনার ৬ বছর পর অবশেষে শাস্তি পেলেন তিনি। কড়া সাজা শোনাল আদালত।
ঘটনাটি তেলঙ্গানার ইব্রাহিমপত্তনম গ্রামের। অভিযুক্তের নাম ডি মহেন্দ্র, বয়স ৩৪ বছর। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে স্থানীয় থানায়। অভিযোগ ছিল, তিনি নিজের একরত্তি মেয়ে এবং শাশুড়িকে খুনের চেষ্টা করেছেন।
ইব্রাহিমপত্তনম থানায় অভিযোগটি দায়ের করেছিলেন অভিযুক্তের স্ত্রী ডি অনুরাধা। তিনি জানান, ২০১৪ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মহেন্দ্র তাঁকে পণের জন্য চাপ দিতেন, চলত অত্যাচার। গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ নিয়ে এর আগেও থানায় গিয়েছিলেন তিনি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন অনুরাধা।
অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েন মহেন্দ্র। বাড়িতে তখন ছিলেন তাঁর শাশুড়ি কলাবতী এবং শিশুকন্যা। অভিযোগ, ব্লেড দিয়ে শাশুড়িকে আক্রমণ করেন মহেন্দ্র। তাঁর গলা এবং পেটে ব্লেড চালিয়ে দেন। মেয়েকেও মারতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শাশুড়ির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনার ৬ বছর পর স্থানীয় আদালতে সাজা হল মহেন্দ্রের। তাঁকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy