পড়াশোনায় দুই ছেলের মেধা কম। দিন দিন স্কুলের পরীক্ষায় তাদের ফল খারাপ হচ্ছে। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই চিন্তায় ছিলেন বাবা। তিনি দুই ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। বাড়ির শৌচাগার থেকে ওই দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া জেলার। অভিযুক্ত ৩৫ বছরের যুবক একটি তেলের সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুই পুত্রের এক জন প্রথম শ্রেণিতে এবং অন্য জন ইউকেজি-তে পড়ত। তাদের বয়স যথাক্রমে ছয় এবং সাত বছর। অভিযোগ, তাদের হাত-পা বেঁধে বালতির জলে ডুবিয়ে খুন করেছেন যুবক। তার পর ঘরে নিজে গলায় দড়ি দিয়েছেন। একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে ছেলেদের স্কুলের খারাপ ফলের কারণে হতাশার কথা লেখা ছিল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দোল উপলক্ষে নিজের অফিসের একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন যুবক। স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময়ে স্ত্রীকে অফিসেই আরও কিছু ক্ষণ থেকে যেতে বলেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি দর্জির দোকানে যাবেন। ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যাবেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ফিরবেন, আশ্বাস দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ পরেও তিনি না-ফেরায় তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে বাড়িতে যান যুবকের স্ত্রী। সেখানে তিন জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় থানার ইনস্পেক্টর বি পেড্ডিরাজু জানান, সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন দম্পতি। কিছু দিন আগে ভাল ফলের আশায় স্কুলও বদলেছিলেন। তার পরেও উন্নতি হয়নি দুই পুত্রের। বাবার চিন্তা ছিল, বাইরের জগতের নিরন্তর প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাঁর ছেলেরা মানিয়ে নিতে পারবে না। দম্পতির কোনও আর্থিক সমস্যা ছিল না বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।