ট্রাকভর্তি বিস্ফোরক লুট করলেন মাওবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার রাউরকেলায়। জানা গিয়েছে, একটি পাথরখাদানে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে ট্রাকে করে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাস্তায় ট্রাক আটকে বিস্ফোরক লুট করে তারা। ইতিমধ্যে ওড়িশার পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ডকে সতর্ক করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাউরকেলার কেবলং থানা এলাকা দিয়ে বাঁকো পাথরখনির দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ওই পাথরখনির কাজের জন্যই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সূত্রের খবর, মাঝপথে ওই ট্রাকটি দাঁড় করায় একদল মাওবাদী। চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সারান্ডার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় তারা। এই ঘটনার পর থেকেই আর ট্রাকটির কোনও খোঁজ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ট্রাকের চালক এবং খালাসিকেও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে মাওবাদী-মুক্ত করা হবে। গত ২১ এপ্রিল থেকে কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় শুরু হয়েছে মাওবাদী দমন অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী রয়েছে ওই দলে।
আরও পড়ুন:
ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ এখনও মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা বলেই পরিচিত। সেই সব এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাফল্যও মিলেছে। বিগত কয়েক মাসে অনেক মাওবাদীকে নিকেশ করেছে যৌথবাহিনী। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার আত্মসমর্পণও করেছেন কয়েক জন। সম্প্রতি, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরে অবুঝমাঢ়ে জঙ্গল এলাকায় মাওবাদী শীর্ষনেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ ওরফে গগন্নার মৃত্যু হয়। তাঁর মাথার দাম ছিল ১০ কোটি টাকা।