ফাইল চিত্র।
নেপালে মাঝ আকাশ থেকে উধাও হয়ে যাওয়া বিমানে ছিলেন মহারাষ্ট্রের একই পরিবারের চার জন। পড়শি দেশের ভারতীয় দূতাবাস থেকে মুম্বই পুলিশকে জানানো হয় এই খবর। ওই চার জনের নাম— বৈভবী ত্রিপাঠি, অশোককুমার ত্রিপাঠি ও তাঁদের দুই সন্তান ধনুশ ও রীতিকা।
দূতাবাস থেকে খবর আসা মাত্রই বৈভবীর পরিবারের খোঁজ করা শুরু করে বোরিভালি পুলিশ। নিখোঁজদের পাসপোর্টে যে ঠিকানা দেওয়া রয়েছে, তা ধরে বৈভবীর দিদি সঞ্জীবনী সাদানির খোঁজও মেলে। যদিও তাঁর বোনের পরিবারের বিমান দুর্ঘটনায় খবর আগে থেকেই জানতেন সঞ্জীবনী। আগেই নেপালে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই খবর তিনি পেয়ে গিয়েছেন বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন।
বোরিভালি পুলিশের যে আধিকারিক বৈভবীর দিদির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তিনি বলেন, ‘‘সঞ্জীবনীকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু উনি আগে থেকেই সব জানতেন। নিজেই নেপালে ভারতীয় দূতাবাসে সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমরা ফোন করতেই বললেন, ‘‘দয়া করে আমার মাকে কিছু বলবেন না। উনি ভীষণই অসুস্থ।’’
নেপালের তারা এয়ারের বিমানের এখনও খোঁজ মেলেনি। চার ভারতীয়-সহ ২২ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখরা থেকে জমসমের দিকে উড়ে গিয়েছিল বিমানটি। কিন্তু ওড়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই বিমানের সঙ্গে এটিসির সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে। প্রথমে নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর টুইটে জানিয়েছিল, একটি নদীর কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই নেপাল সেনা টুইট করে জানায়, বিমানটিকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy