Advertisement
E-Paper

NLSA: ‘থার্ড ডিগ্রি থেকে রেহাই পান না ধনীরাও’

প্রধান বিচারপতির মতে, যাঁরা ন্যায়বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন তাঁদের মধ্যে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের সংখ্যাই বেশি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ০৭:৫৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ভারতে এখনও পুলিশ হেফাজতে অত্যাচার ও অন্য পুলিশি নির্যাতন চলছে বলে মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা। অনেক ক্ষেত্রে ধনী ও প্রভাবশালীরাও থার্ড ডিগ্রির হাত থেকে রেহাই পান না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ‘ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’ (এনএএলএসএ)-কে পুলিশ অফিসারদের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কাজ করতে বলেছেন তিনি।

আজ আইনি পরিষেবা সংক্রান্ত একটি অ্যাপের উদ্বোধনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিচার বিভাগ যদি নাগরিকদের আস্থা অর্জন করতে চায় তাহলে সকলকে বোঝাতে হবে যে বিচার বিভাগ তাঁদের জন্যও কাজ করবে। দীর্ঘদিন ধরেই সমাজের দুর্বল অংশ বিচার বিভাগের আওতার বাইরে রয়েছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভবিষ্যতে অতীতের পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়। সাম্য আনার জন্য সকলকে কাজ
করতে হবে।’’

প্রধান বিচারপতির মতে, ‘‘শারীরিক হেনস্থা আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা থানায়। হেফাজতে নির্যাতন ও অন্য পুলিশি নির্যাতন এখনও চলছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রে ধনী ও প্রভাবশালীরাও পুলিশি নির্যাতন থেকে রেহাই পান না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘থানায় উপযুক্ত আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ না থাকাই হল গ্রেফতার বা আটক হওয়া ব্যক্তিদের পক্ষে সবচেয়ে বড় অসুবিধে। ওই সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তই মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’’

প্রধান বিচারপতির মতে, যাঁরা ন্যায়বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন তাঁদের মধ্যে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের সংখ্যাই বেশি। সেখানে ইন্টারনেট সংযোগের অভাব এবং দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল বিচার প্রক্রিয়া ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, তিনি ইন্টারনেট সংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই সরকারকে চিঠি লিখেছেন। আইনি পরিষেবা পাওয়ার অধিকারের কথা প্রচার করতে ডাক বিভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের মতে, বার কাউন্সিল ও আইন কলেজগুলি আশপাশের কয়েকটি তালুকে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করতে পারে। তাদের সাহায্যে আইনি পরিষেবার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের দল তৈরি করা সম্ভব।

punishment Police Administration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy