Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Sharad Pawar

শরদ-কন্যা সুপ্রিয়াকে ফোন রাহুলের, এনসিপিতে নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা

শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের ‘বিজেপি বিরোধী’ বলে পরিচিতি রয়েছে। অন্য দিকে, শরদের ভাইপো তথা অজিত পওয়ার গত কয়েক বছর ধরেই ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত।

NCP sources says, Rahul Gandhi dials Supriya Sule after sudden resignation of Sharad Pawar

ভারত জোড়ো যাত্রায় সুপ্রিয়া সুলে এবং রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১০:২৮
Share: Save:

এনসিপির অন্দরে টানাপড়েনের আবহে শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে ফোন করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, এনসিপির পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন এবং জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।

কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শরদ সরে গেলে এনসিপির শীর্ষপদে সুপ্রিয়াকে চাইছেন রাহুল-মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। কারণ, বারামতীর সাংসদ সুপ্রিয়ার ‘বিজেপি বিরোধী’ বলে পরিচিতি রয়েছে। অন্য দিকে, শরদের ভাইপো তথা মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অজিত পওয়ার গত কয়েক বছর ধরেই ‘বিজেপি-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত।

মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বইয়ে তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের নেতৃত্ব ছাড়া কথা ঘোষণা করেছিলেন শরদ। তার পর থেকেই এনসিপি সভাপতির মুম্বইয়ের বাড়ি ‘সিলভার ওক’-এর সামনে অনুগামীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। আনাগোনা শুরু হয়েছে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের। মঙ্গলবার শরদের ভাইপো অজিত জানিয়েছিলেন, দলীয় নেতাদের আবেদন শুনে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দু’তিন দিন সময় চেয়েছেন শরদ।

কিন্তু এনসিপি কর্মী-সমর্থকদের ‘আশঙ্কা’ তাতে কমছে না। কারণ, ইতিমধ্যেই তাঁর উত্তরসূরি মনোনয়নের জন্য ১৮ জন নেতার একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন প্রবীণ মরাঠি নেতা। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের ওয়াইবি চহ্বাণ সেন্টারে সেই কমিটির দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার আবার সেই কমিটির বৈঠক বসার কথা। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বুধবার শরদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর বাড়িতে। আর সেখান থেকে বেরিয়ে দলীয় নেতৃত্বে ‘সম্ভাব্য পরিবর্তনের’ কথা জানিয়েছেন তিনি।

ছগনের দাবি, শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে দলের পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন। আর অজিত পেতে পারেন মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব। যদিও মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদে থাকা অজিতের হাতে সে রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্বও শরদ তুলে দেবেন কি না, তা নিয়ে এনসিপি নেতৃত্বের একাংশের মনে প্রশ্ন রয়েছে। তার মূল কারণ বিজেপির সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’।

গত সেপ্টেম্বরে এনসিপির জাতীয় অধিবেশনে দলের সভাপতি হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন শরদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সে দিন মাঝপথেই তিনি বৈঠক ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন অজিত। তার পর থেকেই দু’জনের সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পরেও এনসিপি প্রধান শরদের ভাইপো অজিত ‘বিদ্রোহী’ হয়েছিলেন। তাঁর সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ইস্তফা দিতে হয় তাঁদের দু’জনকে। এর পর অজিত আবার শরদের শিবিরে আশ্রয় নেন। তাঁকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাডী জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন শরদ। কিন্তু এ বার দলের নেতৃত্ব দেবেন কি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE