—প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষা (নিট)-য় বসেছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা দিশা শর্মা। কিন্তু পরিদর্শকের ‘ভুলে’ ১৭টি প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারলেন না তিনি। শেষে বিচার চেয়ে রাজস্থান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ১৮ বছরের ওই নিট পরীক্ষার্থী।
গত ৭ মে সারা ভারতের ৪৯৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষার আয়োজন করেছিল পরীক্ষক সংস্থা এনটিকে। প্রায় ২১ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন দিশাও। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে তিনি যখন পরীক্ষা দিচ্ছেন, সে সময় পরিদর্শকের হাত থেকে চা পড়ে যায় তাঁর ওএমআর শিটে (উত্তরপত্র)। ঘটনার আকস্মিকতায় তড়িঘড়ি চায়ের দাগ তুলতে গিয়ে দিশা দেখেন, তাঁর উত্তরপত্রটাই ‘বিকৃত’ হয়ে গিয়েছে। দিশার বয়ান অনুযায়ী, সে সময় ওই পরিদর্শক তাঁকে নতুন করে উত্তর লেখার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এর জন্য তাঁকে অতিরিক্ত কোনও সময় দেওয়া হয়নি। পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় চাওয়া হলেও খাতা কেড়ে নেন ওই পরিদর্শক। পরীক্ষায় ১৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বলেও দাবি করেছেন দিশা।
জয়পুরের বিবেক টেকনো স্কুলে পরীক্ষা দিয়েছিলেন দিশা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গেও দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায়, হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দিশা। রাজস্থান হাই কোর্টের বিচারপতি এমএম শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি অনিল উপমানের বেঞ্চ দিশার উত্তরপত্রটি দেখতে চেয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত। ৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে উপস্থিত থাকতে বলেছে হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy