Advertisement
E-Paper

দরিদ্র কল্যাণে মোদীর দাবি নিয়ে প্রশ্ন

বিরোধীদের বক্তব্য, যে প্রকল্পের অনুষ্ঠানে মোদী এই দাবি করেছেন, তা-ই তো মুখ থুবড়ে পড়েছে সারা দেশে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৪৮
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ছবি পিটিআই।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ছবি পিটিআই।

দরিদ্র এবং দারিদ্র সম্পর্কে চর্চা এ দেশে অনেক হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা গত ছ’বছরে যতখানি হয়েছে, তা আগে কখনও হয়নি বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের পাল্টা কটাক্ষ, লকডাউন আসলে করোনার উপরে আক্রমণ ছিল না। তা উল্টে আক্রমণ করেছে দরিদ্রদেরই। দুনিয়ার তাবড় অর্থনীতিবিদদের অনেকে এবং বিরোধী শিবির বহু বার বলা সত্ত্বেও, এই কঠিন সময়ে টিকে থাকতে গরিব মানুষের হাতে সরকার প্রতি মাসে নগদ কেন জোগাল না, সেই প্রশ্নও ফের তুলেছে তারা।

ফেরিওয়ালাদের ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহজে ব্যাঙ্ক ঋণের সুবিধা মধ্যপ্রদেশে কতখানি কার্যকর হয়েছে, তা দেখতে বুধবার এক ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ভারতে দরিদ্রদের নিয়ে আলোচনা বহু হয়েছে। অনেকে তো ‘গরিব, গরিব’ বলেই সারা জীবন কাটিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কষ্ট লাঘব করতে পরিকল্পনা মাফিক পদক্ষেপ গত ছ’বছরে যতখানি হয়েছে, সেই লক্ষ্যে যে ভাবে একের সঙ্গে এক প্রকল্পকে জোড়া হয়েছে এবং তাঁদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়ানোর চেষ্টা যে ভাবে হয়েছে, তা আগে এ দেশে কখনও হয়নি।

উদাহরণ হিসেবে, জন-ধন অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে নিখরচার গ্যাস সিলিন্ডার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রত্যেকের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানীয় জল পৌঁছনোর পণ, আয়ুষ্মান ভারতের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন তিনি। হাতেগরম উদাহরণ হিসেবে দাবি করেছেন, যে সমস্ত ফেরিওয়ালা বা ফুটপাত ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিচ্ছেন, কেন্দ্র দেখছে যে, বাকি সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও তাঁদের ঘরে পৌঁছেছে কি না।

আরও পড়ুন: ঝাঁটার কারবারে মুনাফা বাড়ানোর বুদ্ধি প্রধানমন্ত্রীর

কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, যে প্রকল্পের অনুষ্ঠানে মোদী এই দাবি করেছেন, তা-ই তো মুখ থুবড়ে পড়েছে সারা দেশে। ব্যাঙ্কে ঋণ নিতে গিয়েছেন কত শতাংশ ফেরিওয়ালা? এঁদের অনেকে তো কাগজপত্র আর নিয়মের গেরোয় ব্যাঙ্কের চৌকাঠ মাড়াতেই ভয় পান! প্রধানমন্ত্রীর যদিও দাবি, সেই পদ্ধতি সরল করায় সাড়া মিলছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এ দিনও ফের বলেছেন, ঋণ নয়, এই সঙ্কটে হাতে নগদ প্রয়োজন ছিল দরিদ্রদের। যার কথা ‘ন্যায়’ প্রকল্পে বলেছিল তাঁর দল। তাঁর অভিযোগ, সুট-বুটের সরকার শিল্পপতিদের ঢালাও কর ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু দরিদ্রদের দেয়নি। বরং অপরিকল্পিত লকডাউনের জেরে অর্থনীতির কোমর ভেঙে যাওয়ায় বহু মানুষ কাজ খুইয়েছেন। বহু ব্যবসা শিকেয়। ধুঁকছে অসংগঠিত ক্ষেত্র। যে কারণে লকডাউন করোনার বদলে আখেরে দরিদ্রদেরই আক্রমণ করেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।

করছেন, তা কখনওই কোনও দায়িত্বশীল নেতার ‘শোভন’ আচরণ হতে পারে না। তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দিকেই তিনি রাস্তা খোলা রেখে যা করছেন, তাকে ‘ব্ল্যাকমেলিং’ বলা যেতে পারে।

এই অবস্থায় শোভনের জন্য তৃণমূলের দরজা কি তা হলে বন্ধ থাকবে? সূত্রের খবর, যদি কিছু করতে হয়, তবে শোভনকেই এখন সরাসরি সেটা করতে হবে। তবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে শেষ সিদ্ধান্ত অবশ্য নির্ভর করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে।

Garib Kalyan Yojana Narendra Modi Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy