প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি— পিটিআই।
এর আগেও তিনি সংবিধানের মৌলিক অধিকারের থেকে সংবিধানের মৌলিক কর্তব্যের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার স্বাধীনতার ৭৫তম বছর বা অমৃত মহোৎসবের সঙ্গে সংবিধানের মৌলিক কর্তব্যকে জুড়ে দিলেন। সাক্ষী রাখলেন মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে।
আজ সংসদে সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে কর্তব্যের মাধ্যমে অধিকার রক্ষা করাটা আমাদের জন্য জরুরি।’’ গাঁধীজিও সেই একই কথা বলেছিলেন বলেও যুক্তি দেন তিনি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, মোদী সরকার কি সংবিধানের মৌলিক অধিকারের থেকে মৌলিক কর্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে সংবিধান সংশোধনের পথে হাঁটবে!
মোদী জমানায় মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে আঘাত করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেই বিরোধীরা আজ সংসদে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে গরহাজির থেকেছেন। সেই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী আজ ফের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের থেকে মৌলিক কর্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ১৯৪৯-এর ২৬ নভেম্বর সংবিধান পরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার দিনেই প্রধানমন্ত্রী মোদী সংবিধান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেই সংবিধানে কোনও মৌলিক কর্তব্যের কথা ছিল না। ইন্দিরা গাঁধী জরুরি অবস্থার সময়ে সংবিধান সংশোধন করে মৌলিক কর্তব্য ঢোকান। আজ প্রধানমন্ত্রী অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, গাঁধীজি স্বাধীনতার আন্দোলনে অধিকারের জন্য লড়তে লড়তেও দেশকে কর্তব্যের জন্য তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পরে শাসন ব্যবস্থা শুধু ‘অধিকার, অধিকার, অধিকার’-এর কথাই বেশি করে বলেছে। বোঝানোর চেষ্টা করেছে, তাঁরা ক্ষমতা থাকলেই অধিকার রক্ষা পাবে।
বিরোধী শিবিরের অনেকরই অভিযোগ, স্বৈরাচারী শাসকেরাই মৌলিক অধিকারের থেকে মৌলিক কর্তব্যে বেশি জোর দেন। আজ প্রধানমন্ত্রী অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, সবাই নিজের কর্তব্য পালন করলেই কারও না কারও অধিকার রক্ষা পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy