লোকসভায় আক্রমণাত্মক অধীর চৌধুরী (ডান দিকে)-কে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর। ছবি: পিটিআই।
লোকসভায় আক্রমণাত্মক অধীর চৌধুরীকে থামিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ‘‘থামুন, বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের থেকে বেশি প্রচার পেয়ে যাবেন!’’ তবে অধীর যে তাঁর ‘পছন্দের’ পাত্র, বুধবার তা-ও শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের উপর বিতর্কের দীর্ঘ জবাবি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকেই বার বার উঠে দাঁড়িয়ে বাধা দিতে থাকেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর। একটা সময় পর মোদী বক্তব্য থামিয়ে বলে ওঠেন, “অধীররঞ্জনজি, আপনাকে তো পছন্দ করি। কেন এমন করছেন। এ বার বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন। কেন সভার কাজে বাধা দিচ্ছেন।”
নিজের ভাষণে ৩টি নতুন কৃষি আইনের পক্ষে বলতে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘কৃষি আইন নিয়ে বাজে রাজনীতি চলছে। কংগ্রেসের উচিত আগে ভাল করে কৃষি আইন নিয়ে চর্চা করে তার পর কথা বলা। মোদীর ভাষণের মাঝেই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা নিয়ে বার বার স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদেরা। বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং হই-হট্টগোলের মাঝে এক সময় ভাষণ থামাতে বাধ্য হন মোদী।
কৃষি আইন নিয়েই মোদীকে এ দিন তোপ দাগেন অধীর। তাঁর দাবি, ‘‘এই আইনের ফলে কয়েকটি রাজ্য লাভবান হবে এবং বাকিগুলো হবে না। সকলেই উপকৃত হবে না, এমন আইন আনার কী দরকার?’’ মোদীর ভাষণের সময় বার বার ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহারের স্লোগান দিতে দেখা যায় অধীরকে।
বিক্ষোভে উত্তাল লোকসভায় মোদীর ভাষণের মাঝেই রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে কক্ষত্যাগ করেন কংগ্রেস সংসদরা। যদিও কংগ্রেসিদের কক্ষত্যাগের পরও তাঁদের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা কিছুমাত্র কমাননি মোদী। তাঁর দাবি, ‘‘এই বাধাদান, হইহল্লা পুরোটাই সাজানো। কৃষি আইন নিয়ে আসল সত্য ফাঁস হলে বিরোধীদের পরিকল্পনা বাধা পাবে।’’ সংসদে তাঁর ভাষণের সময় পরিকল্পনা করেই বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy