প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল ছবি।
ঘড়ির কাঁটা যত এগোচ্ছে, ততই অধীর হয়ে উঠছে দেড়শো কোটির দেশ। শিল্পপতি থেকে সাধারণ মানুষ, বলিউড তারকা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী— সকলেরই প্রশ্ন, কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ? ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার অনন্য এই মুহূর্তকে সকলের স্মৃতির মণিকোঠায় স্থায়ী জায়গা দিতে অবতরণের মুহূর্ত সরাসরি পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইল ফোনে। সেই লাইভ টেলিকাস্টে চোখ রাখবে ভারত। একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই দৃশ্য দর্শনের সাক্ষী হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
নয়াদিল্লি থেকে আপাতত তাঁর দূরত্ব আট হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। কিন্তু জোহানেসবার্গে বসেও ভারতের চন্দ্রাবতরণের মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিন দিনের সরকারি সফরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে সেখানে রয়েছেন তিনি। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতির গহিন সমুদ্রে ডুব দিয়েও তাঁর মন যে পড়ে নিজের দেশের অনন্য এই ‘মিশন’-এই, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাই প্রধানমন্ত্রী নিজেও চোখ রাখবেন ইসরোর সরাসরি সম্প্রচারে। খুঁটিয়ে বুঝে নিতে চাইবেন ভারতের চন্দ্রযানের অবতরণের খুঁটিনাটি।
চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধ এমন একটি জায়গা যেখানে এর আগে কোনও ‘মুন মিশন’ই অবতরণ করেনি। ভারত সেই স্পর্ধা দেখিয়েছে, যে স্পর্ধার প্রতি আস্থাশীল দেশের কোটি কোটি জনতা। এ ক্ষেত্রে তাঁদের একমাত্র আশঙ্কার জায়গা, অতীতে চন্দ্রযান-২ অভিযানের ব্যর্থতা। সে দিন হতাশ বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। কান্নায় ভেঙে পড়া বিজ্ঞানীদের বুকে টেনে নিয়ে ভরসা জুগিয়ে এসেছিলেন, খুব দ্রুত আবারও চাঁদে পাড়ি দেবে ভারতের চন্দ্রযান। ব্যর্থতা নয়, মোদী বলেছিলেন, আগামিবার সাফল্যের মুখ দেখবেনই ভারতের বিজ্ঞানীরা। সেই মহালগ্ন উপস্থিত। প্রধানমন্ত্রী মোদীর চোখ আটকে থাকবে অবতরণের সরাসরি সম্প্রচারে। সন্ধ্যা ৬টা ৪মিনিটে যখন গোটা দেশ উৎসবে মাতবে, তখন আট হাজার কিলোমিটারেরও দূরে বসে, আনন্দে উদ্বেল হবেন এক সত্তরোর্ধ্বও। নাম তাঁর নরেন্দ্র মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy