সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নির্ভুল লক্ষ্যে হামলা চালিয়ে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করেছে ভারত। পাকিস্তান সেনা, অসামরিক জনবসতি এলাকা বা অর্থনৈতিক কেন্দ্রকে নিশানা করা হয়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষ হওয়ার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পরে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিনের মাথায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পঞ্জাব প্রদেশের ন’টি জঙ্গি ডেরায় হামলার পরে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় রাজনাথের দাবি, ‘‘আমরা শুধু মাত্র তাদেরই মেরেছি যারা আমাদের নিরপরাধ নাগরিকদের খুন করেছিল।’’ ‘নিখুঁত, সতর্ক এবং সহানুভুতিশীল’ অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের জন্য সেনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় সেনার সাহসকে কুর্নিশ জানাই। এই সাফল্যের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও প্রাপ্য।’’
আরও পড়ুন:
পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাবের ন’টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে রাজনাথ বুধবার রামায়ণের উদাহরণও টেনেছেন। ‘‘আমরা হনুমানজির আদর্শ অনুসরণ করেছি, যে কৌশল তিনি লঙ্কার অশোককানন ছারখার করার সময় ব্যবহার করেছিলেন।’’ কী সেই কৌশল? প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘জিন মোহি মারা, তিন মোহি মারে, অর্থাৎ আমরা কেবল তাদেরই হত্যা করেছি যারা আমাদের নিরপরাধদের খুন করেছে। ভারত তার মাটিতে আক্রমণের ‘প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার’ প্রয়োগ করেছে। আমাদের পদক্ষেপ অত্যন্ত চিন্তাভাবনা করে এবং পরিমিত ভাবে করা হয়েছে।’’