হিজাব নিয়ে গোলমাল কি এ বার আগরায়? প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের আগরার এক স্কুলের প্রিন্সিপাল অভিযোগ করলেন, ছাত্রীদের স্কুল চত্বরের ভিতরে হিজাব পরার নিয়ম চালু করার জন্য তাঁর উপর চাপ দিচ্ছেন স্কুলেরই মুসলিম শিক্ষকরা। একটি ভিডিয়োতে একটি ইন্টার-কলেজের প্রিন্সিপাল মমতা দীক্ষিত অভিযোগ করেছেন, তিনি স্কুলে সরকারি পোশাক-বিধি জারি রাখার সওয়াল করলে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা হয়।
সম্প্রতি ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় মমতার দাবি, স্কুলের কয়েক জন মুসলিম ধর্মাবলম্বী শিক্ষক স্কুলের মধ্যে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে থাকার নিয়ম চালুর চেষ্টা করছেন। যা স্কুলের সরকারি পোশাক-বিধির পরিপন্থী। মমতার অভিযোগ, তিনি যখন ‘ড্রোসকোড’ চালুর ব্যাপারেই অনড় মনোভাব দেখান তখন তাঁকে হেনস্থাও করা হয়। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিজেদের হিন্দু সংগঠন বলে দাবি করে কয়েক জন স্কুলে পৌঁছে যান। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, স্কুলে যেন কোনও ভাবেই হিজাব পরানোর চেষ্টা করা না হয়।
মমতা কথা বলেছেন কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, হিজাবের বিরোধিতা করায় তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতরের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে। মমতার দাবি, পরিস্থিতি এমন যে স্কুলের ২০০ মুসলিম ধর্মাবলম্বী ছাত্রীরাও তাঁকে সহ্য করতে পারছে না। আগরার যুগ্ম ডিরেক্টর (শিক্ষা) আরপি শর্মা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর পেয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন আগরার বিজেপি বিধায়ক জিএস ধর্মেশ। তিনি প্রিন্সিপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রিন্সিপাল তাঁকে স্কুলের কয়েক জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক যদিও দাবি করেছেন, প্রিন্সিপাল স্কুলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির জন্য বিভিন্ন রকম চেষ্টা করছেন। হিজাব নিয়ে বিতর্কও তারই এক উদাহরণ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy