প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাজারে রসুনের দাম আকাশছোঁয়া। তবে কৃষকেরা খুশি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা নাকি কৃষকদের থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে রসুন কিনছেন। সেই রসুনই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কিলো দরে। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার রসুন উৎপাদনকারী কৃষকদের কথায়, লাভ ভালই হচ্ছে। অন্য দিকে, বেড়েছে ‘মহার্ঘ’ রসুন ‘চুরি’র ঘটনা। তাই নিজেদের ফসল বাঁচাতে নজরদারি চালাতে ক্ষেতে ক্ষেতে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলার সাঁওয়ারি পোনা গ্রামের বাসিন্দা রাহুল দেশমুখ। তাঁর বাড়ির সকলেই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই ছোট থেকেই বাবা-দাদুকে চাষের কাজে সাহায্য করতেন তিনি। এখন পুরোদস্তুর কৃষিকাজই করেন। তবে এ বছর প্রথম বার নিজের জমিতে রসুন চাষ করছেন রাহুল। কিন্তু দামি রসুন যাতে ক্ষেত থেকেই চুরি হয়ে না যায়, তাই সিসি ক্যামারা বসিয়েছেন। বাড়ি থেকেই সিসিটিভিতে নজর রাখছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, ‘‘রসুন এখন খুবই দামি। সে জন্য চুরির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই রসুন ক্ষেতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি। বাড়ি থেকেই নজর রাখি। এই সিসি ক্যামেরা চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়ে না। সৌরশক্তির সাহায্যে চলে।’’
রাহুল জানান, অতীতে তাঁর ক্ষেতে একাধিক বার চুরি হয়েছে। তাই সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর ১৩ একর জমিতে এ বছর রসুন চাষ করছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ৩৫ একর চাষের জমি রয়েছে। তার মধ্যে ১৬ একর জমিতে টোম্যাটো, দুই একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়। জুন মাসে আমরা রসুন চাষ শুরু করি।’’ রাহুলের জমিতে চাষ করেন শতাধিক কৃষক।
রাহুল ছাড়া ওই গ্রামের অন্যা কৃষকেরাও তাঁদের জমিতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন। সকলের মুখে একটাই কথা, চোরেদের নজর এখন রসুনের দিকে। পাইকারি বাজারে ভাল দামে বিকোচ্ছে। তাই চোরেদের থেকে ফসল বাঁচাতেই সিসিটিভিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy