ফাইল চিত্র।
শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে পঞ্চান্ন বছর পরে এ বার ভিন্রাষ্ট্রের কোনও প্রধান নেতাকে ছাড়াই রাজধানীতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ হতে চলেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চলতি সপ্তাহে তাঁর প্রস্তাবিত ভারত সফর বাতিল করার কথা জানানোর পরে এখনও পর্যন্ত অন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানায়নি ভারত। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, একে অতিমারি চলছে। তার মধ্যে এত কম সময়ের নোটিসে কোনও রাষ্ট্রনেতারই ভারতে আসা প্রায় অসম্ভব। পাশাপাশি কূটনৈতিক ভাবেও বিষয়টি ঠিক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন যাঁকেই আমন্ত্রণ জানানো হোক, বার্তা যাবে যে, তিনি প্রথম আমন্ত্রিত ছিলেন না। বরিস জনসন না আসায় আমন্ত্রণ করা হচ্ছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণের বিষয়টি নিছকই কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর শরিক করার জন্য নয় বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ শিবির। এর পিছনে বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক, কৌশলগত সমীকরণও কাজ করে। এর আগে এক মাত্র ১৯৬৬ সালে কোনও রাষ্ট্রনেতাকে প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ১১ জানুয়ারি প্রয়ানের কারণে। ইন্দিরা গাঁধীর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার শপথ নিয়েছিল ২৪ জানুয়ারি, অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের মাত্র দু’দিন আগে। অতীতে বার দুয়েক প্রজাতন্ত্র দিবসে পরিবর্ত অতিথিকে ডেকেছে ভারত। ২০১৩ সালে ওমানের সুলতান কাবু বিন সৈয়দ আল সৈয়দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি না আসায় ভুটানের রাজাকে আনা হয়। ২০১৯ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প না আসায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy