নাম না করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কখনওই প্রতিবেশীদের অপমান বা ক্ষতি করি না। তবে কেউ যদি খারাপ কাজ করে, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তবে আত্মরক্ষায় জবাব দেওয়া ছাড়া উপায় নেই!’’
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন ২৬ জন। ওই হামলার দায়স্বীকার করে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। যদিও পরে অবস্থান বদল করে তারা। নাম জড়ায় লশকরের অন্যতম প্রধান সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরির। তিনি আবার লশকর নেতা হাফিজ় সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। অনেকের মনেই প্রশ্ন, তবে কি জঙ্গি হামলায় পরোক্ষ মদত রয়েছে পাকিস্তানের? যদিও ইসলামাবাদ এই ব্যাপারে দায় এড়িয়েছে। তারা জানিয়েছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। তবে ভারতের অভিযোগ পাকিস্তানের দিকেই।
মঙ্গলবারের ওই হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। অটারী সীমান্তে ভারতের ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বৈধ নথিতে এ দেশে এসেছেন, তাঁদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে একই পথে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ‘সার্ক’ ভিসাও। পাকিস্তান পাল্টা প্রতিঘাত হিসাবে ভারতীয় বিমানের জন্য পাক আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি শিমলা চুক্তি স্থগিত করার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন:
তবে ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকেই পহেলগাঁও কাণ্ডের জবাব দেওয়ার আওয়াজ উঠছে। সেই সুরেই ভাগবতও নাম না করে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছে। অভিযোগ, জঙ্গিরা না কি ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে গুলি চালিয়েছে। বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে উঠে এসেছে তেমনই তথ্য। শনিবার সেই প্রসঙ্গ টেনে ভাগবত বলেন, ‘‘হিন্দুরা কখনওই এমন কাজ করবে না। এটা আমাদের স্বভাব নয়। তবে আমরা নীরবে সব কিছু সহ্য করব না।’’ অতীতেও একই ভাষায় পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দা করেছেন ভাগবত।