বিহারের বিধানসভা ভোটের মুখে আরজেডি শিবিরে ভাঙনের আভাস মিলতে শুরু করেছে গত কয়েক দিন ধরে। বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের দলের একের পর এক নেতা। রবিবারও দুই আরজেডি নেতা বিভা দেবী এবং প্রকাশ বীর বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, তাঁরা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউতে যোগ দিতে পারেন।
বিভা ছিলেন নওদার বিধায়ক। প্রকাশ ছিলেন রাজৌলির বিধায়ক। রবিবার উভয়েই বিহার বিধানসভার স্পিকার নন্দকিশোর যাদবের সঙ্গে দেখা করেন। বিধানসভার আধিকারিক সূত্রে খবর, দু’জনেরই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন স্পিকার। আরজেডির এই দুই নেতার সঙ্গেই বর্তমানে দলীয় নেতৃত্বের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। গত ২২ অগস্ট গয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাতেও থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। তার পর থেকেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের সঙ্গে তাঁদের রাজনৈতিক সখ্য নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়।
এ অবস্থায় রবিবার বিধায়ক পদে দু’জন ইস্তফা দেওয়ায় তাঁদের দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আরজেডি শিবিরের একাংশের ধারণা, তাঁরা ভোটের আগেই শিবির বদল করে এনডিএ-তে চলে যেতে পারেন। বিভার স্বামী রাজবল্লভ যাদবও প্রাক্তন বিধায়ক। একটি পকসো মামলায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে জেলবন্দি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি পটনা হাই কোর্টের নির্দেশ জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। নওদা জেলায় রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট প্রভাবশালী যাদব। গত লোকসভা ভোটে তাঁর পরিবারের এক সদস্য টিকিট না-পাওয়ায় দলের প্রতি অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর। যাদবের ভাই বিনোদ আরজেডি ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
দু’দিন আগেই বিহারের আরও দুই আরজেডি নেতা— চেতন আনন্দ এবং সঙ্গীতা কুমারী বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। তাঁরাও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে পিটিআই সূত্রে খবর। আগামী মাসেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যে বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলেছে শাসকজোট এনডিএ। সমান সংখ্যক আসনে লড়াই করছে বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের দল সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ)। দুই দলই ১০১টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২৯টি আসনে লড়াই করবে অধুনাপ্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ানের দল এলজেপি (আর)। জিতনরাম মাঁঝীর হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) লড়াই করবে ছ’টি করে আসনে।