ছবি: টুইটার
হিমাচলপ্রদেশে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়বেন সঞ্জয় সুদ। সিমলা শহর কেন্দ্র থেকে তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এই সিমলাতেই পুরনো একটি বাসস্টপের ধারে সঞ্জয়ের চায়ের দোকান। নয়ের দশকে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল। পারিবারিক ভাবে এখন এই ‘সুদ টি স্টল’ চালান সঞ্জয়রা। দোকানটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর সিমলার এই চা-ওয়ালার উপরেই ভরসা রেখেছে রাজ্যের শাসকদল।
নরেন্দ্র মোদী এক সময় গুজরাতে চা বিক্রি করতেন। আজ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতির মঞ্চে সেই চা-ওয়ালার উত্থান অনুপ্রেরণা জোগায় সিমলার সঞ্জয়কেও। ৫৭ বছরের এই চা বিক্রেতা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। বর্তমানে তিনি কোটিপতি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। ৪ বারের বিধায়ককে সরিয়ে তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল।
জানা গিয়েছে, ১৯৯১ সালে সিমলার বাসস্টপে চায়ের দোকান খুলেছিলেন সঞ্জয়রা। একই সঙ্গে সেই দোকান থেকে খবরের কাগজও বিক্রি করা হত। বিজেপি সঞ্জয়কে টিকিট দেওয়ার পর অনেকেই তাঁকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তুলনা করছেন। কিন্তু সঞ্জয় নিজে সে সব মানতে নারাজ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও তুলনাই হয় না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সঞ্জয় বলেন, ‘‘বিজেপি আমাকে ভোটে লড়ার সুযোগ দিয়েছে, আমি তার জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখানে কোনও তুলনা টানা উচিত নয়। তিনি এক জন রাষ্ট্রনায়ক।’’
একদা তাঁর মতোই চা-ওয়ালা প্রধানমন্ত্রীকে নিজের হাতে এক কাপ চা বানিয়ে খাওয়াতে চান সঞ্জয়। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মাঝেমাঝেই সিমলায় আসেন, এখানে কিছু সময় কাটিয়ে যান। আমি ওঁকে এক কাপ চা বানিয়ে খাওয়াতে চাই।’’ ভোটে জিতলে চায়ের দোকান ভুলে যাবেন না সঞ্জয়। তিনি জানান, নিজের শিকড় কখনও ভুলতে চান না। বিধায়ক হওয়ার পরেও তাই চায়ের দোকানে বসবেন বলে জানিয়েছেন। জয়ের বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত সঞ্জয় এবং তাঁর দল। আপাতত বিধায়ক হিসাবে আগামী দিনে কী ভাবে মানুষের সেবা করবেন, তা নিয়েই চলছে ভাবনাচিন্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy