Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Shiv Sena

স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেই সাত খুন মাফ? শিন্ডের দলত্যাগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধবসেনা

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বিষয়ে টানা শুনানি চলবে শীর্ষ আদালতে। বিশেষ সাংগঠনিক বেঞ্চই ঠিক করবে, বিষয়টিকে বৃহত্তর সাংগঠনিক বেঞ্চে পাঠানো হবে কি না।

Shiv Sena rift Supreme Court defers decision on question for larger bench reference to hear on merits from feb 21

স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেই সাত খুন মাফ? শিন্ডের দলত্যাগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধবসেনা।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৬
Share: Save:

শিবসেনা ভেঙে সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ে আলাদা দল গড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। সে সময় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দলত্যাগী বিধায়কদের অবস্থান জানাতে বলেছিলেন। কিন্তু শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্য প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিবসেনার উদ্ধব শিবির। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বিষয়ে টানা শুনানি চলবে শীর্ষ আদালতে। বিশেষ সাংগঠনিক বেঞ্চই ঠিক করবে, বিষয়টিকে বৃহত্তর সাংগঠনিক বেঞ্চে পাঠানো হবে কি না।

২০১৬ সালে ‘নাবাম রেবিয়া বনাম ডেপুটি স্পিকার’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি জেএস খেহর এবং বিচারপতি দীপক মিশ্রর রায় ছিল, ‘‘স্পিকারকে পদচ্যুত করার জন্য প্রস্তাব জমা পড়লে, দলত্যাগী বিধায়করা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়বেন কি না, তা তিনি ঠিক করতে পারবেন না।” আদালতের বৃহত্তর সাংগঠনিক বেঞ্চে এই রায়কে পুনর্বিবেচনা এবং পুনর্মূল্যায়ন করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে উদ্ধব শিবির। উদ্ধবের আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভিরা আদালতে এই যুক্তি দিয়ে সওয়াল করেন যে, দলত্যাগী বিধায়করা যখন তখন স্পিকার কিংবা ডেপুটি স্পিকারকে পদচ্যুত করার প্রস্তাব এনে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে মুক্ত হয়ে যেতে পারেন। শিন্ডের আইনজীবীরা অবশ্য আদালতে জানান, মহারাষ্ট্রের ঘটনার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের মামলাটির কোনও প্রাসঙ্গিকতাই নেই।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংগঠনিক বেঞ্চ মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে একাধিক মামলায় উদ্ধব এবং শিন্ডে— দু’পক্ষের বক্তব্য শুনেছে। উদ্ধব শিবিরে থাকা ডেপুটি স্পিকার দলত্যাগী বিধায়কদের কাছে তাঁদের দলীয় অবস্থান জানতে চেয়ে নোটিস পাঠালেও তাঁর কোনও উত্তর আসেনি। ২০২২ সালের ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে আস্থাভোট নেওয়ার কথা বলেন। আস্থাভোট স্থগিত করার আর্জি জানিয়ে উদ্ধব শিবির সুপ্রিম কোর্টে গেলেও আদালত ২৯ জুন তাদের আর্জি খারিজ করে দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE