Advertisement
E-Paper

অসম সীমান্তে বসল বিশেষ বুলেট ক্যামেরা

বিএসএফ কর্তারা জানিয়েছেন, ওই ক্যামেরায় চার কিমি এলাকা দেখা যায়। রাতের অন্ধকারেও মনিটরে ওইটুকু দূরত্বের সবকিছু স্পষ্ট ধরা পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৪৭
করিমগঞ্জ জেলার উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তে ‘পিটিজেড বুলেট’ ক্যামেরা বসল।

করিমগঞ্জ জেলার উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তে ‘পিটিজেড বুলেট’ ক্যামেরা বসল। প্রতীকী ছবি।

করিমগঞ্জ জেলার উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তে ‘পিটিজেড বুলেট’ ক্যামেরা বসল। লম্বা খুঁটিতে এক সঙ্গে তিন ক্যামেরা সারা ক্ষণ তিন দিক পর্যবেক্ষণ করবে। তাতে নজরদারি আরও ভাল হবে বলে দাবি বিএসএফ কর্তাদের। তাঁদের কথায়, কম্পিউটারে তাৎক্ষণিক মনিটরিং করা যায় বলে চোরাকারবারি, দুষ্কৃতী-সহ যে কোনও অনুপ্রবেশ ঠেকানো সহজ হবে।

করিমগঞ্জ জেলায় ৪.৩৫ কিমি আন্তর্জাতিক সীমান্ত উন্মুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের আপত্তিতে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া বসানো সম্ভব হচ্ছে না। এর অধিকাংশই জলসীমান্ত। ফলে নদীতীরে দাঁড়িয়ে সীমান্তরক্ষীদের পক্ষে সব জায়গায় নজর রাখা সম্ভব হয় না। লেজার ফেন্সিংয়ের আশ্বাস শোনা গেলেও করিমগঞ্জে প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তাই শুরু হয়নি। গত বছরের অগস্টেও অসমের সীমান্ত সুরক্ষা ও উন্নয়ন মন্ত্রী অতুল বরা বিধানসভায় এক প্রশ্নোত্তরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বাধার কথাই জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ৪.৩৫ কিমি উন্মুক্ত সীমান্তে এক সারির কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য কেন্দ্র ৪.৭৭ কোটি টাকা মঞ্জুর করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশের আপত্তির জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। আন্তর্জাতিক সীমান্তের দেড়শো গজের হিসেব থেকে একচুল সরতে রাজি নয় এরা। জলসীমান্ত থেকে দেড়শো গজ দূরে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর ওই শর্ত মানতে হলে গোটা করিমগঞ্জ শহর কাঁটাতারের ও পারে চলে যাবে। ভারত সরকার নদী তীরে কিছুটা জায়গা ছেড়ে বেড়া দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনা করে চললেও তাদের সম্মত করা যায়নি। পরে কথা হয়, অন্য জায়গার মতো শক্তপোক্ত বেড়া নয়, শুধু একসারির কাঁটাতার বসানো হবে। প্রথমে রাজি হলেও পরে তাতেও আপত্তি করে বসে। এ বার বাংলাদেশের প্রস্তাব মেনে করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হলেও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ব্যাপারে কথাবার্তা এগোয়নি। তবে উন্মুক্ত সীমান্তে পিটিজেড বুলেট বসানোয় করিমগঞ্জের মানুষ কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁরা আশাবাদী, এখন ওই সীমান্ত এলাকার পাচার বাণিজ্য কমবে।

বিএসএফ কর্তারা জানিয়েছেন, ওই ক্যামেরায় চার কিমি এলাকা দেখা যায়। রাতের অন্ধকারেও মনিটরে ওইটুকু দূরত্বের সবকিছু স্পষ্ট ধরা পড়ে। দুষ্কৃতীরা অন্ধকারের সুযোগে সীমান্ত পেরনোর চেষ্টা করলে এখন আর পার পাবে না।

Assam Border Camera Security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy