মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ফাইল ছবি
ফৌজদারি মামলা ঝুলছে এমন পড়ুয়াদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মধ্যপ্রদেশ উচ্চশিক্ষা দফতর। ১ অগস্ট থেকে সে রাজ্যের কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১১ লক্ষের বেশি পড়ুয়া এ বারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। সরকার নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরাই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন, তাঁদের হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে তাঁদের নামে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই, তবেই ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া যাবে।
নাম না করে একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ‘‘কলেজের অধ্যক্ষদের বলা হয়েছে, যাঁরা ভর্তির আবেদন করছেন, তাঁদের থেকে একটি হলফনামা জমা নিতে। সেখানে পড়ুয়াকে জানাতে হবে যে মধ্যপ্রদেশ বা দেশের অন্য রাজ্যে তাঁর নামে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই।’’ এ বিষয়ে ৪৮ পাতার একটি নির্দেশনামা কলেজগুলিকে ইতিমধ্যে পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র সংগঠনগুলি। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক অজয় তিওয়ারি বলেছেন, ‘‘প্রথমে ইউনিয়নের নির্বাচন বন্ধ করে সরকার। তারপর এই নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকার বিরোধী আন্দোলনে পড়ুয়ারা যাতে অংশ নিতে না পারেন, সেই কারণেই এই আইন চাপিয়ে দেওয়া হল।’’ তিওয়ারির দাবি নয়া কৃষি আইন থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি, এ সবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন পড়ুয়ারা। সেই কারণেই এই আইন চাপিয়ে দেওয়া হল।
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই আইনের বিরোধিতা করেছে বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক প্রবীণ শর্মা জানিয়েছেন, ‘‘এর ফলে ছাত্র রাজনীতির বিনাশ ঘটবে। পড়ুয়ারা তাঁদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কী করে একটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন যেখানে আদালতই স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy