Advertisement
E-Paper

‘কিন্ডল’কে ডেটিং অ্যাপের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, হাসির রোল আদালতে

সে দিন দেশে গ্রামীণ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ই-লাইব্রেরি এবং পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাইজেশনের বিষয়ে পরিকল্পনার কথা আদালতকে জানাচ্ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০১
Supreme Court judge confuses Kindle e-book reader with dating app Tinder

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আন্তর্জালের সৌজন্যে ‘কিন্ডল’ শব্দটির সঙ্গে আজকাল অনেকেই পরিচিত, বিশেষত বইপ্রেমীরা। অ্যামাজনের এই ই-বুক রিডারের সাহায্যে ছাপার হরফে না হলেও দেশ-বিদেশের নানা বইয়ের ‘সফ্‌ট কপি’ পড়ে ফেলা খুবই সহজ। কিন্তু সেই কিন্ডলকেই ডেটিং অ্যাপ বলে ভুল করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। তাঁর সেই ভুলে আদালতকক্ষে বেশ একচোট হাসাহাসি হয়ে গেল।

‘ইন্ডিয়া টুডে’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সে দিন সারা দেশে গ্রামীণ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ই-লাইব্রেরি এবং পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাইজেশনের বিষয়ে পরিকল্পনার কথা আদালতকে জানাচ্ছিলেন।

তখন ই-বুক নিয়ে বিক্রমজিৎকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার। তিনি জানতে চান, ‘‘ডিজিটাল রিডারে যেখানে নতুন পাতা উল্টানোর আনন্দ এবং অনুভূতি পাওয়া যায়, সেটাকে কী বলা হয়? টিন্ডার?’’

উল্লেখ্য, ‘টিন্ডার’ হল একটি ডেটিং অ্যাপ। জীবনসঙ্গী খোঁজার জন্য নেটাগরিকদের অনেকেই এই ধরনের ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। স্পষ্টতই, ‘কিন্ডল’কে ‘টিন্ডার’-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার।

তাঁর প্রশ্নের জবাবে ভুল সংশোধন করে দিয়ে বিক্রমজিৎ জানান, ডিভাইসটির নাম ‘কিন্ডল’, ‘টিন্ডার’ নয়। তখন হেসে ফেলে বিচারপতি বলেন, ‘‘হ্যাঁ। টিন্ডার একটা ডেটিং অ্যাপ।’’

বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। সেখানে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল প্রথাগত পদ্ধতিতে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি জানান, এখন সবকিছুই ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতেও পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘‘আজকাল সবকিছুই ই-ফর্মে সুবিধাজনক ভাবে পাওয়া যায়। সেটা ইকোনমিস্টই হোক বা অন্য কিছু। আমরা প্রথাগত ভাবে যে সব জিনিস ব্যবহার করতাম, তা পরিবর্তন করা উচিত।’’

গত ৩ জানুয়ারি আদালত অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড (AoR) স্বাতী জিন্দালের দায়ের করা আবেদনের জবাবে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একটি নোটিস জারি করেছে। পঠনপাঠনের মাধ্যমে শিশুদের সামগ্রিক শিক্ষা ও বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে।

Supreme Court Books
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy