সিধুর বিরুদ্ধে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। ফাইল চিত্র।
প্রায় তিন দশক পুরনো একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং রাজনীতিক নভজোৎ সিংহ সিধু। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌলের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, হাতকেও অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা যাতে পারে। কোনও ক্রিকেটার কিংবা শারীরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী কোনও মানুষ যদি অপরকে আঘাত করেন, সে ক্ষেত্রে হাত অবশ্যই একটি অস্ত্র। আদালতের সংযোজন, ‘‘একজন বক্সার, কুস্তিগির, ক্রিকেটার কিংবা কোনও শারীরিক ভাবে শক্তিশালী ব্যক্তির হাতে যদি কোনও বয়স্ক কিংবা কম শক্তিশালী মানুষ আহত হন, সে ক্ষেত্রে হাত অবশ্যই একটি অস্ত্র।’’
১৯৮৮-এর ২৭ ডিসেম্বর পটিয়ালার রাস্তায় গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে গুরনাম সিংহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন সিধু ও তাঁর বন্ধু রুপিন্দ্র সিংহ সান্ধু। অভিযোগ, গুরনামকে গাড়ি থেকে জোর করে টেনে বার করে মারধর করেন তাঁরা। ওই ঘটনার কয়েক দিন পরে মারা যান গুরনাম। সেই মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের।
মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, ‘‘চোখের বদলে চোখ কিংবা দাঁতের বদলে দাঁত নিতে হবে এমন নয়। এই শাস্তির কারণ হল, এর প্রভাব সমাজে পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy