ত্রিপুরার পুরভোট থেকে গোয়ায় দলবদল। জাতীয় রাজনীতিতে ধারাবাহিক ভাবে খবরের শিরোনামে উঠে আসছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমশই নিজেকে মোদী-বিরোধী শিবিরের ‘মুখ’ করে তুলছেন। রাজ্যে রাজ্যে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই পরিস্থিতিতে মমতার দিল্লি সফরের সময় মঙ্গলবার জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিলেন হিন্দি বলয়ের তিন প্রাক্তন সাংসদ— কীর্তি আজাদ, অশোক তনওয়ার এবং পবন বর্মা।
এই তিন নেতার তৃণমূলে যোগাদানের ফলে হিন্দি বলয়ের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। শুধু উত্তর ভারত নয়, হরিয়ানার নেতা অশোককে ভবিষ্যতে ত্রিপুরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী অতীতে রাহুল গাঁধীর টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই এবং যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও।
২০০৯ সালে হরিয়ানার সিরসা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অশোক। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে হেরে যান। এর কিছু দিন পরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার সঙ্গে মতবিরোধের জেরে দল ছাড়েন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে নতুন দল ‘আপনা ভারত মোর্চা’ গড়ার কথা ঘোষণা করেন অশোক। সেই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন তাঁর দীর্ঘ দিনের বন্ধু, ত্রিপুরার ‘মহারাজা’ তথা ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদ্যোৎ দেব বর্মন। বছর দুয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে নয়া রাজনৈতিক মঞ্চ ‘তিপ্রা মথা’ গড়েছিলেন প্রদ্যোৎ।