ফাইল চিত্র।
সোমবার গভীর রাতে রাজস্থানের জয়পুর বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। বিকেলে আমদাবাদের একটি আদালতে হাজির করানো হলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলকে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে ‘আপত্তিকর’ টুইট করার অভিযোগেই গুজরাত পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেতকে। যে টুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব, সেটি গত ১ ডিসেম্বর নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাতে মোরবী সেতু ভাঙার পর সেখানে মোদীর পরিদর্শনের জন্য ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ হয়েছে শুধু মাত্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠান এবং ছবি তোলার জন্য। যেখানে মোরবী সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট ৫ কোটি টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’’
সাকেত ওই টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘শুধু মোদীকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানের দাম ১৩৫ জনের জীবনের থেকে বেশি!’’ সম্প্রতি ওই টুইটটিকে ভুয়ো বলে দাবি করে একটি পাল্টা টুইট করেছিল পিআইবি ফ্যাক্ট চেক নামে টুইটারের একটি ব্লু টিক দেওয়া ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট।
এর পাশাপাশি গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোদীর জন্মদিনে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে চিতাবাঘ আনানো নিয়েও একটি টুইট করেছিলেন সাকেত। আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার আইন)-এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য এবং একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সাকেত লিখেছিলেন, চিতা-চুক্তির বিনিময়ে হাতির দাঁতের ব্যবসার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণ করতেই মোদী-রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেতকে। গুজরাত পুলিশের আইনজীবী আদালতে মঙ্গলবার জানান, ধৃত তৃণমূল মুখপাত্র ভুয়ো টুইট করেছেন। তাই তাঁকে জেরার জন্য হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, সাকেত তাঁর টুইটের সঙ্গে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) করা একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তরের ক্লিপিংস দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ১ ডিসেম্বর প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) তার সত্যতা যাচাই করে জানিয়েছিল, ওই ক্লিপিংস ভুয়ো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy