দু’টি সর্বদল বৈঠকে না থাকলেও সংসদীয় মন্ত্রীর বৈঠকে থাকবে তৃণমূল ফাইল চিত্র।
সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে লোকসভার স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে গেল না তৃণমূল। শনিবার বিকেলে এই সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন ওম বিড়লা। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন না তৃণমূলের কোনও সাংসদ। সোমবার, ১৮ জুলাই থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে প্রথা মেনে এই সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। শনিবারের পর রবিবারও দু’টি সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার মধ্যে একটি বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু, অন্যটির ডাক দিয়েছেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। রবিবারের দু’টি বৈঠকের মধ্যে শুধু সংসদীয় মন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের এক সাংসদ হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
শনিবারের বৈঠকে না যাওয়া নিয়ে লোকসভার স্পিকারকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এ নিয়ে টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘সংসদে কখনও কোনও জনকেন্দ্রিক বিষয়ে আলোচনার অনুমোদন দেয় না কেন্দ্র। সংসদীয় গণতন্ত্রকে উপহাস করে ওরা ভয়ে পালায়। এখন সর্বদল বৈঠক প্রহসনে পরিণত হয়েছে। প্রথমে সরকার পক্ষ বলে, আমরা যে কোনও বিষয়ে আলোচনায় ইচ্ছুক। শেষ পর্যন্ত তারা বিরোধীদের উপেক্ষাই করে।’’ পরে ডেরেক আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমদের দলের একজন সাংসদ সংসদীয় মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যাবেন।’’ প্রসঙ্গত, দিনভর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠকে যাবে না তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূল সংসদীয় দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যসভা ও লোকসভার সর্বদলীয় বৈঠকে তারা অনুপস্থিত থাকলেও সরকার পক্ষ অর্থাৎ সংসদীয় মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই, সর্বদলীয় বৈঠক বয়কটের যে কথা বলা হচ্ছে, তা আদৌ সত্য নয়।
Union govt never allow a discussion on any ‘people centric’ issue in #Parliament They run scared making a mockery of #ParliamentaryDemocracy
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) July 16, 2022
PRE-SESSION ALL PARTY MEETINGS NOW A SHAM.
PM photo-op where Govt says ‘we are willing to discus any subject’ but end up ignoring Oppn
তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় দলের সমাবেশ রয়েছে। রাজ্য জুড়ে সেই সমাবেশের প্রস্তুতি সভা চলছে এখন। জনসংযোগ কর্মসূচির আওতায় সেই সব সভাগুলিতে যেতে হচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের। এ সব নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সর্বদল বৈঠক না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই বক্তব্যের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি শাসকদলের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy