প্রতীকী ছবি
জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের দুই প্রান্ত। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানাচ্ছে, রবিবার প্রথমে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং মণিপুরে ভূমিকম্প হয়। তবে দু’টি ক্ষেত্রেই রিখটর স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। কোনও জায়গা থেকেই ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এ দিন সকাল ৮টা ৫৬ মিনিট নাগাদ প্রথম কম্পন ধরা পড়ে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ডিগলিপুর এলাকায়। এনসিএসের মতে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৫ কিমি গভীরে ওই কম্পন দেখা দেয়। রিখটর স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১। এর পর বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরের উখরুল এলাকায়। এনসিএস জানাচ্ছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিমি গভীরে ছিল ওই কমন্পনের উৎসস্থল। রিখটর স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪।
শনিবারই জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল হরিয়ানার রোহতক ও জম্মু এবং কাশ্মীরের হ্যানলে এলাকা। গত কয়েক মাসে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গত দু’মাসেই দিল্লিতে অন্তত ১৬টি ভূমিকম্প হয়েছে, যার বেশিরভাগই মৃদু। এনসিএস জানাচ্ছে, গত এপ্রিল থেকে ভূপৃষ্ঠের নীচে যে সব এলাকায় চ্যুতি রয়েছে সেই বরাবরই ভূমিকম্প দেখা গিয়েছে। ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, দিল্লিকে ঘিরেই ভূপৃষ্ঠের নীচে রয়েছে মথুরা চ্যুতি, মোরাদাবাদ চ্যুতি, দিল্লি-সারগোধা চ্যুতি, মহেন্দ্রগড়-দেহরাদুন চ্যুতি এবং দিল্লি-হরিদ্বার শৈলশিরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই সব এলাকায় নানা ভাবে তৈরি হওয়া চাপের কারণেই মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প হচ্ছে।
আরও খবর: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে নজর দিলে কড়া জবাব’, মোদীর ‘মন কি বাত’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy