Advertisement
E-Paper

বিয়ের চাপে অতিষ্ঠ! উত্তরপ্রদেশে কলেজপড়ুয়া প্রেমিকাকে খুন করলেন যুবক, মিলল কম্বলে মোড়ানো দেহ

২০২৪ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা হয়েছিল অলকা ও সাহেবের। সে-ই প্রথম আলাপ। এর পর ধীরে ধীরে দু’জনের সখ্য গড়ে ওঠে। সাহেবের দাবি, অলকা প্রায়ই তাঁর কাছ থেকে টাকা চাইতেন। বিয়ের জন্যও চাপ দিতেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৬
নিহত তরুণী অলকা বিন্দ।

নিহত তরুণী অলকা বিন্দ। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের জন্য প্রায়ই চাপ দিতেন কলেজপড়ুয়া প্রেমিকা। কখনও কখনও টাকাও চাইতেন। সে সব আর ভাল লাগছিল না। তাই পথের কাঁটা সরাতে প্রেমিকাকে খুন করলেন যুবক। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম অলকা বিন্দ (২২)। বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী ছিলেন অলকা। বৃহস্পতিবার বারাণসীর মির্জামুরাদ এলাকার রূপাপুরের এক ধাবায় তাঁর গলা কাটা দেহ মেলে। দেহটি কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। নিহত তরুণীর পরিবারের দাবি, বুধবার সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন অলকা। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শেষমেশ বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর দেহ মেলে। খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত তথা অলকার প্রেমিক সাহেবকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সাহেবকে ভাদোহিতে তাঁর বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আসতেই সাহেব এক কনস্টেবলের হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তাতেই পায়ে গুলি লেগে জখম হয়েছেন সাহেব। আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেখান থেকে ছাড়া পেলেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। বারাণসী পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) আকাশ পটেল বলেন, ‘‘বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ অলকা কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি। রাতে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সেই রাতেই ধাবার ঘরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্তে নেমে মৃতার প্রেমিক সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মির্জাপুরের বাসিন্দা ওই যুবক এনকাউন্টারে জখম হয়েছেন।’’ তিনি আরও জানান, অলকার ফোনের কল রেকর্ড, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি খতিয়ে দেখে তাঁর প্রেমিক সাহেবকে খুঁজে বের করে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অলকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন সাহেব। তিনি বলেন, ‘‘অলকা বার বার বিয়ে করার জন্য চাপ দিত। মাঝেমাঝে টাকাও চাইত। বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম!’’ পুলিশই জানিয়েছে, ২০২৪ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা হয়েছিল অলকা ও সাহেবের। সেই প্রথম আলাপ। এর পর ধীরে ধীরে দু’জনের সখ্য গড়ে ওঠে। সাহেবের দাবি, অলকা প্রায়ই তাঁর কাছ থেকে টাকা চাইতেন। বিয়ের জন্যও চাপ দিতেন। উপায়ান্তর না দেখে শেষমেশ প্রেমিকাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন যুবক। মৃতার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Uttar Pradesh woman Murder Boyfriend
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy