Advertisement
E-Paper

থানায় শিশুর সামনেই বাবাকে স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাত, ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে অত্যাচার

গত ১৩ অক্টোবর স্ত্রী খুনে অভিযুক্ত প্রদীপ তোমারের (৩৫) মৃত্যু হয়। অভিযোগ, প্রদীপকে ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হরপুর খানায়। তার পর জেলের ভিতর জেরার নামে একটানা পাঁচ ঘণ্টা চলে নৃশংস অত্যাচার। গোটা ঘটনাই ঘটেছে প্রদীপের ছেলের সামনে।

সংবাদসংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৫৫
জেলের ভিতর নৃশংস অত্যাচার বাবাকে, সাক্ষী থাকল ১০ বছরের শিশু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাখ

জেলের ভিতর নৃশংস অত্যাচার বাবাকে, সাক্ষী থাকল ১০ বছরের শিশু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাখ

সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে১০ বছর বয়েসি শিশুটি স্পষ্ট বলেছে,‘‘অন্তত দশজন পুলিশ মত্ত অবস্থায় আমার বাবাকে ঘিরে ধরে বেদম মারছিল। বাবাকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। গায়ে গেঁথে দেওয়া হয় স্ক্রু ড্রাইভার। সামান্য জলও দেওয়া হয়নি। গোটা ঘটনা আমি দেখতে বাধ্য হয়েছি জেলের বাইরে বসে। আমার হাতে একটা চিপসের প্যাকেট দিয়ে বন্দুকের সামনে চুপ করে বসে থাকতে বলা হয়।’’ উত্তরপ্রদেশের জেলে নৃশংস অত্যাচারে মৃত নিরাপত্তারক্ষী প্রদীপ তোমরের ছেলের এই বয়ান সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তিন পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এই ঘটনায়।

গত ১৩ অক্টোবর স্ত্রী খুনে অভিযুক্ত প্রদীপ তোমারের (৩৫) মৃত্যু হয়। অভিযোগ, প্রদীপকে ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হরপুর খানায়। তার পর জেলের ভিতর জেরার নামে একটানা পাঁচ ঘণ্টা চলে নৃশংস অত্যাচার। গোটা ঘটনাই ঘটেছে প্রদীপের ছেলের সামনে। প্রদীপের এক আত্মীয় এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘গত দেড় মাস আগে ওঁর স্ত্রী মারা যায়। সেই মৃত্যুর তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ গত রবিবার তুলে নিয়ে যায় প্রদীপকে। সেখানে তাঁকে চরম নির্যাতন করা হয়েছে।’’

একটানা অত্যাচারে এই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক হাসপাতলে। সেখান থেকে তাঁকে মেরঠের অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় প্রদীপের। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহের ভিডিয়ো তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন প্রতিবেশীরা।

আরও পড়ুন:শঙ্খ ঘোষদের ডি-লিট দেবে যাদবপুর, প্রথমে আপত্তি জানিয়েও পরে মেনে নিলেন আচার্য
আরও পড়ুন:কাছ থেকে পর পর গুলি! নিজের অফিসেই খুন হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন নেতা

মেরঠ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি)সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যোগেশ বালিয়া আজব সিংহ ও মনীশ কুমার নামে তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’মৃতের পরিবারের তরফে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করার জন্যে অবস্থান বিক্ষোভও করা হয়।

গাজিয়াবাদের একটি কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন প্রদীপ। গত ৩০ অগস্ট তাঁর স্ত্রী খুন হন। পুলিশের অনুমান, প্রদীপেরই এক আত্মীয় অরুণ এই খুন করেছে। প্রদীপও এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করছিল পুলিশ।

UP Jail Torture
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy