আমেরিকানদের লাহৌর ছাড়ার পরামর্শ দিল মার্কিন দূতাবাস। বৃহস্পতিবার লাহৌরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানে এই মুহূর্তে যে আমেরিকানেরা রয়েছেন, তাঁদের পাঁচ দফা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাতে। বলা হয়েছে, সম্ভব হলে দ্রুত লাহৌর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। যদি তা না-করা যায়, তবে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহৌরে কয়েকটি ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘লাহৌর এবং তার কাছাকাছি অঞ্চলে ড্রোন বিস্ফোরণ, ড্রোন ধ্বংস এবং সম্ভাব্য আকাশসীমা লঙ্ঘনের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে লাহৌরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সকল কর্মীকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে। আমেরিকার যে সমস্ত নাগরিক বর্তমানে লাহৌরে আছেন বা এমন জায়গায় আছেন, যেখানে সক্রিয় সংঘর্ষ চলছে, যদি সম্ভব হয়, তাঁরা অবিলম্বে সেই জায়গা ছেড়ে চলে যান। যদি নিরাপদে তা করা সম্ভব না-হয়, তবে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।’’ নাগরিকদের সহায়তার জন্য দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের কয়েকটি নম্বরও দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন:
দূতাবাস যে পাঁচটি পরামর্শ মার্কিন নাগরিকদের দিয়েছে, সেগুলি হল—
- নিরাপদ আশ্রয় খুঁজুন।
- আমেরিকার সরকারের উপর নির্ভর না করে নিজেরা পাকিস্তান ছাড়ার বন্দোবস্ত করুন।
- যাতায়াত সংক্রান্ত সমস্ত নথি বৈধ রাখুন এবং সবসময় সঙ্গে রাখুন।
- পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নজর রাখুন।
- বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখুন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। পাকিস্তানও প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছে। সীমান্তে সংঘর্ষ চলছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ভারত ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে খবর। পাক সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, লাহৌর, রাওয়ালপিন্ডি-সহ বিভিন্ন শহরে ভারতের ড্রোন নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাহৌর বিমানবন্দর। উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে বসবাসকারী মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করল লাহৌরের দূতাবাস। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বিদেশসচিব এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের কাছে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।