মহড়ায় স্থলসেনা পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। প্রতীকী ছবি।
রাশিয়ার সামরিক মহড়ায় ভারতের যোগ দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ‘ভস্তক’ নামের ওই মহড়া। সেই মহড়ায় প্রতিনিধিত্ব করতে বায়ুসেনা বা নৌসেনা না পাঠালেও স্থলসেনা পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখপাত্র কারিন জঁ পিয়ের এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, “কোনও দেশ যদি রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে সামরিক মহড়া করে, তা হলে আমেরিকার যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে। রাশিয়া এক তরফা ভাবে ইউক্রেনের উপরে নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে।”
বিষয়টি নিয়ে আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর কাছে জানতে চাওয়ায় তিনি বলেছেন, “ভারত নিয়মিত ভাবেই রাশিয়ায়, অন্য অনেক দেশের সঙ্গে সামরিক মহড়া করে থাকে।” বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, বিষয়টি নিত্যনৈমিত্তিক, এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য বারের সামরিক মহড়ার সঙ্গে এ বারের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। গত ছ’মাস ধরে ইউক্রেনের উপরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। আমেরিকা-সহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ প্রকাশ্যেই সমালোচনা করছে রাশিয়ার। এই নিয়ে বার বার ভোট হচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাশিয়ার উপরে, যাতে তাদের আয় কমে। গোটা প্রক্রিয়াতেই ভারত ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রেখেছে। তারা এক দিকে আমেরিকার নেতৃত্বে কোয়াড-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। অন্য দিকে সস্তায় বিপুল অশোধিত তেল আমদানি করছে রাশিয়া থেকে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ার (তা সে যতই ছোট মাপের প্রতিনিধি দল পাঠানো হোক না কেন) পরে আমেরিকা তথা পশ্চিম বিশ্ব নয়াদিল্লির উপরে চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy