Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Champai Soren

দুই জায়ের দ্বন্দ্বেই বরাত খুলছে চম্পাইয়ের? রাঁচীর কুর্সিতে হেমন্তের উত্তরসূরি ‘টাইগার’?

বস্তুত, সেরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার সেরাইকেলা আসনে ২০০৫ সাল থেকে টানা চার বারের এই জেএমএম বিধায়ক গোটা সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা।

চম্পাই সোরেন।

চম্পাই সোরেন। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৩
Share: Save:

পাঁচ বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে জামশেদপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে হারার পরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা কার্যত ‘দাঁড়ি টেনে’ দিয়েছিলেন তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনায়। দলের অন্দরেও তাঁর কোণঠাসা হওয়ার ‘জল্পনা’ ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ঝাড়়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী-নাম চম্পাই সোরেন। তবে হেমন্ত ইস্তফা দিলেও শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল চম্পাইকে মন্ত্রিসভা গড়তে ডাকেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

হেমন্তের বিদায়ী মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রীর পদে ছিলেন চম্পাই। বস্তুত, সেরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার সেরাইকেলা আসনে ২০০৫ সাল থেকে টানা চার বারের এই জেএমএম বিধায়ক গোটা সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা। কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাই দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশের পরেই পড়াশোনায় ইতি টেনে জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রাজনীতিতে। অবিভক্ত বিহার ভেঙে পৃথক আদিবাসীভূমি ঝাড়খণ্ড গড়ার আন্দোলনে। সেই সময় থেকেই সিংভূমে ‘টাইগার’ নামে পরিচিতি পান তিনি।

শিবুর দল এনডিএ-তে থাকাকালীন বিজেপি নেতা অর্জুন মুন্ডার নেতৃত্বাধীন সরকারে ২০১০-১৩ মন্ত্রীও হয়েছিলেন চম্পাই। পরবর্তী সময়ে হেমন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী হলে আবার ক্যাবিনেটে ঠাঁই পান তিনি। জেএমএমের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করলে স্ত্রী কল্পনাকে রাঁচীর কুর্সিতে বসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন হেমন্ত। কিন্তু দলের অন্তত চার জন বিধায়ক তাতে সরাসরি আপত্তি জানান। সেই ‘বিদ্রোহী’ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন হেমন্তেরই বৌদি তথা জেএমএম বিধায়ক সীতা সোরেন এবং আর এক ‘প্রভাবশালী’ চামরা লিন্ডা। শেষ পর্যন্ত সেই চাপের কাছে পিছু হটেই ‘নিরপেক্ষ’ চম্পাইয়ের হাতে রাঁচীর কুর্সি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হেমন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE