নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জোট বাঁধলেও সনিয়া-মমতা-মায়াবতীরা তিন তালাক প্রশ্নে চুপ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি।
অমিত শাহ যতই বুথে বুথে ঘুরে নিজের দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য কালঘাম ছোটান, বিরোধী দলের জোট বাঁধা নিয়ে যে বিজেপির মনে ভয় আছে, সেটি স্পষ্ট। অমিত শাহ আজ নিজেও বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা যদি জোট বাঁধে, আমরা তো আটকাতে পারব না। আমরা আমাদের শক্তি বাড়াতে পারি।’’ গত কয়েক দিন ধরে বিরোধী দলের একের পর এক নেতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সক্রিয়, তার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু আজ এই বিরোধী জোটে মহিলা নেত্রীদের বেছে বেছে আক্রমণ করল বিজেপি।
এবিপি নিউজের শিখর সম্মেলনের অনুষ্ঠানে মোদী সরকারের মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘এটি রাজীব গাঁধীর সরকার নয়, যে শাহ বানোর মতো মামলায় সরকার মাথা নোয়াবে। এটি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মুসলিম মহিলাদের পাশে শক্ত হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই নির্যাতিত মহিলাদের পাশে সনিয়া গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়বতীর মতো নেত্রীরা চুপ কেন?’’ এই প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকেও টেনে আনেন রবিশঙ্কর। এই অনুষ্ঠানেই অবশ্য কংগ্রেসের নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘নির্যাতিতাদের পাশে রয়েছে কংগ্রেস। সনিয়া গাঁধীও মুখ খুলবেন।’’
তিন তালাক নিয়ে যে ভাবে কংগ্রেসের নেতা কপিল সিব্বল মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছেন, তাতে কংগ্রেসের একাংশ অস্বস্তিতে। যে কারণে এই বিষয়ে আজ সিন্ধিয়াও ভালো করে জবাব দিতে পারেননি। অমিত শাহও বলেন, ‘‘তিন তালাক নিয়ে রাজনীতি না করে গোটা দেশের এক সুর হওয়া উচিত। অনেক ধর্মের কুপ্রথা এর আগে বন্ধ হয়েছে।’’ আর এই বিষয়টি নিয়ে তিন মুসলিম মহিলা আদালতে গিয়েছেন। সরকার তার পক্ষ রেখেছে মাত্র। কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকার আদালতে না বলে নিজে থেকেই কেন আইন করে তিন তালাক বন্ধ করে দিচ্ছে না? কেনই বা আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে চালাচ্ছে? জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আইন না করেই অভিযোগ আসছে বিজেপি রাজনীতি করছে। আইন করলেও একই অভিযোগ আসত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy