পোষ্যের গলা কেটে খুন করে প্লাস্টিকে তার দেহ মুড়ে ফ্ল্যাটেই রেখে দিয়েছিলেন। তার পর ফ্ল্যাট বন্ধ করে পলাতক ‘মালকিন’। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে একটি ল্যাব্রাডরের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনটি ঘটেছে বেঙ্গালুরু শহরে। ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, তন্ত্রসাধনা করে পোষ্যকে বলি দেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে আরও দু’টি কুকুর। তবে তারা জীবিত রয়েছে।
শনিবার বেঙ্গালুরু শহরের একটি বন্ধ ফ্ল্যাটে যায় পুলিশ। ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে পচা গন্ধ বার হচ্ছে বলে খবর পায় তারা। ফ্ল্যাটের দরজা-জানলা বন্ধ ছিল। মালিক ত্রিপর্ণা পাইকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক দিন ত্রিপর্ণাকে তাঁরা দেখেননি। তাই শেষমেশ দরজা ভেঙেই ফ্ল্যাটে ঢুকতে হয় পুলিশকে। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধানে একটি ঘরে যেতেই ঝটকা। দেখা যায়, গলা কাটা অবস্থায় একটি ল্যাব্রাডর পড়ে রয়েছে। কুকুরটির শরীরে কাপড় জড়ানো।
আরও পড়ুন:
অন্য ঘরে আরও দু’টি পোষ্যের খোঁজ পায় পুলিশ। তাদের চেন দিয়ে বেঁধে রাখা ছিল। ওই কুকুর দু’টিকে উদ্ধার করে পশু চিকিৎসালয়ে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পোষ্যটিকে বলি দিয়েছেন বাড়ির মালিক। কারণ, বাড়ির দেওয়ালে তন্ত্রমন্ত্রের কিছু ছবি এবং লেখা পাওয়া গিয়েছে। কিছু দেবদেবীর ছবি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক তদন্তকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মনে করা হচ্ছে, কালাজাদুর অনুশীলন করতেন বাড়ির মালিক। সেই কারণেই পোষ্যকে খুন করেছেন। বাড়ির মালিক এক জন মহিলা এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর খোঁজ চলছে।’’
মৃত কুকুরটির ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে গলা কাটা হয় ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে। মোটামুটি দিন চারেক আগে কুকুরটিকে মারা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে। বেশ কিছু পশুপ্রেমী সংগঠন সরব হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তের গ্রেফতারি এবং কঠিন শাস্তির দাবি করেছে তারা।