প্রতীকী ছবি।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রায় ১৫ দিন পর এক রোগীর পচাগলা দেহ মিলল হাসপাতাল চত্বরের একটি পরিত্যক্ত ভবনে।
গত ২৩ মে চেন্নাইয়ের রাজীব গাঁধী সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলন বছর একচল্লিশের সুনীতা। ওই দিন তাঁর স্বামী মৌলি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের বিছানায় তাঁকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তাঁর হদিশ মেলেনি।
৩১ মে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন মৌলি। গত ৮ জুন হাসপাতাল চত্বরেই একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করেন হাসপাতালের কর্মীরা। ডেকে পাঠানো হয় সুনীতার স্বামীকে। সুনীতার পোশাক এবং তাঁর সঙ্গে থাকা একটি ছোট ব্যাগ দেখেই দেহ শনাক্ত করেন মৌলি। কিন্তু কী ভাবে ওই পরিত্যক্ত ভবনে গেলেন সুনীতা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে।
পুলিশের দাবি, নিখোঁজ নয়, সুনীতাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় সামনে আসে হাসপাতালের কর্মী রাধাদেবীর নাম। তিন বছর ধরে হাসপাতালে রোগীদের দেখাশোনার কাজ করতেন রাধাদেবী। পুলিশ সূত্রে খবর, রাধাদেবীর টাকার প্রয়োজন ছিল। আর সুনীতার কাছে টাকার একটা ব্যাগ রয়েছে সেটা খেয়াল করেছিলেন। সুনীতার শারীরিক অবস্থাও বেশ খারাপ ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে ২৩ মে গভীর রাতে তাঁকে স্ক্যান করানোর অছিলায় হুইলচেয়ারে করে নিয়ে যান রাধাদেবী। লিফটের মধ্যেই সুনীতার টাকার ব্যাগ এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেন তিনি। তার পর হাসপাতালের ওই পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে সুনীতাকে খুন করেন রাধাদেবী। তার পর তাঁর দেহ ফেলে সেখান থেকে চম্পট দেন। এই ঘটনায় রাধাদেবীকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy