এর আগে, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসেও স্টেশন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
বেঙ্গালুরুতে রেলস্টেশন থেকে আরও এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হল। সোমবার রাতে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেশন এসএমভিটির প্রধান ফটকের সামনে একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে গত ৩ মাসে একই কায়দায় ৩ জন মহিলার দেহ উদ্ধার করা হল। এই ঘটনার নেপথ্যে সিরিয়াল কিলার রয়েছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
সোমবার সকাল থেকেই স্টেশন চত্বরে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিল। কিন্তু দুর্গন্ধের উৎসস্থল নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলেন রেলের পুলিশকর্মীরা। সন্ধ্যায় একটি প্লাস্টিকের ড্রাম নজরে আসে আরপিএফ কর্মীদের। ড্রামটির কাছে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, সেখান থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর পরই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ডাকা হয় বাইয়াপ্পানহল্লি রেল পুলিশকে। এর পরই ড্রামটি খোলা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় মহিলার পচাগলা দেহ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্নিফার ডগ। এর আগেও বেঙ্গালুরুর রেলস্টেশন থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। গত ৪ জানুয়ারি যশবন্তপুর স্টেশনেও ড্রামের মধ্যে থেকে এক মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনার আগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বাইয়াপ্পানহল্লি স্টেশনে একটি ট্রেনের মধ্যে থেকে আরও এক মহিলার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে ৩ মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স তিরিশের কোঠায়। দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। স্টেশনে কে ড্রামটি রাখলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ।
এই রহস্যমৃত্যুর আবহেই গত শনিবার বেঙ্গালুরুতে একটি বহুতলের সামনে থেকে এক বিমানসেবিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যা না কি খুন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তাঁর প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy