সেই চাকরির বিজ্ঞাপন। ছবি: টুইটার
শ্রীলঙ্কায় মাদক পাচার ও ব্যবসার মতো গুরুতর অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যদিও ১৯৭৬ সালের পর সেই দেশে ফাঁসি দেওয়া হয়নি কাউকেই। কিন্তু দেশে মাদক ব্যবসার বাড়বাড়ন্তের কারণে নতুন করে ফাঁসির বিধান কার্যকর করার পরিকল্পনা করছে শ্রীলঙ্কা।
তবে শ্রীলঙ্কায় এই মুহূর্তে ফাঁসুড়ে নেই একজনও। তাই ফাঁসুড়ে চেয়ে গত মাসে বিজ্ঞাপন দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। আর চোখ কপালে উঠেছে তারপরেই। ওই বিজ্ঞাপন দেখে ফাঁসুড়ে পদের জন্য আবেদন করেছে এক আমেরিকান-সহ মোট ১০২ জন!
কিন্তু কেন হঠাৎ এই চরম দণ্ড ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত? জানা গিয়ে, সম্প্রতি ফিলিপিন্সে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করায় মিলেছে সাফল্য। নিকেশ করে দেওয়া হয়েছে মাদক চোরাচালান ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় কয়েক হাজার অপরাধীকে। ওই দেশে মাদক ব্যবসা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফিলিপিন্সের এই নীতিতেই অনুপ্রাণিত হয়ে পুনরায় চরম শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
শ্রীলঙ্কার কারাগার দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘ভাল নৈতিক চরিত্র’ এবং ‘মানসিক ভাবে শক্তিশালী’ ব্যক্তিদের থেকে ফাঁসুড়ে পদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। বেতন ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই মোট ১০২ জন আবেদন করেছেন ওই পদের জন্য। তার মধ্যে আছেন এক আমেরিকানও। তবে বিদেশিরা এই চাকরির যোগ্য না হওয়ায়, তাঁর আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরণার্থী শিশুদের জন্য জায়গা করতে নির্দেশ
মাদক ব্যবসা ছাড়াও শ্রীলঙ্কার আইনে খুন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। কিন্তু ১৯৭৬ সালের পর দেশটির কোনও সরকারই তা কার্যকর করেনি। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার শেষ ফাঁসুড়ে একজনকেও ফাঁসি না দিয়ে ইস্তফা দেন। প্রথমবারের মতো ফাঁসিকাঠ দেখেই মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সক্রিয় অন্তত ২২টি জঙ্গি ঘাঁটি, দাবি ভারতের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy