ফাইল চিত্র।
জো বাইডেনের শপথে যে তিনি থাকবেন না, সে কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ জানা গেল, শপথের দিন সাতসকালেই হোয়াইট হাউস ছাড়বেন তিনি। ওই দিনই বেনজির ভাবে নিজের বিদায় সম্বর্ধনার আয়োজন করেছেন তিনি। গত চার বছরে তাঁর বহু বারের সফরসঙ্গী এয়ারফোর্স-ওয়ান বিমান যেখানে রাখা থাকে, সেই অ্যান্ড্রুজ় জয়েন্ট বেসে হবে ট্রাম্পের ফেয়ারওয়েল!
হাতে সময় আর দিনপাঁচেক। আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে চলেছেন জো বাইডেন। আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতিও প্রায় সারা। কিন্তু ক্যাপিটলে হামলার পরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে। তাই বাইডেনের শপথে ট্রাম্প-সমর্থকেরা হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় ২০ হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে। কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে শহরটা।
শহরের পুলিশকর্তা রবার্ট কন্টি বলেছেন, ‘‘বড়সড় গন্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তাঘাটে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।’’ বিশেষ করে ক্যাপিটল থেকে লিঙ্কন মেমোরিয়াল পর্যন্ত এলাকায় যাতায়াত পুরোপরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল মল নামে পরিচিত এই এলাকায় প্রতি বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। কোভিড পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার খাতিরে এ বার সেই জমায়েত বন্ধ রাখা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এবং আমেরিকান-এর মতো উড়ান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, লুকিয়ে কেউ যাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে না-পারে, তার জন্য যাত্রীদের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সরকারি রেল পরিষেবা সংস্থা আমট্র্যাক জানিয়েছে, ট্রেনগুলিতে তারা অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করেছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অনুরাগীদের কাছে পৌঁছতে আপাতত টুইটারেই ভরসা রাখছেন বাইডেন। বৃহস্পতিবার টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনেই হোয়াইট হাউসের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টগুলি বাইডেন প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তত দিন সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন ভাবী প্রেসিডেন্ট। ‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট বাইডেন’ নামে ওই টুইটার হ্যান্ডল থেকে প্রথম টুইটটি করে তিনি নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy