নাটালিয়া বকশিবা ও তার স্বামী দিমিত্রি বকশিবা।
যথেষ্ট টাকা পয়সা রয়েছে হাতে। চাইলেই ভাল রেস্তরাঁয় ঢুকতে পারে। অর্ডার করতে পারে ইচ্ছে মতো খাবার। কিন্তু রেস্তরাঁয় যাবে কী! আসলে নজর তো নরমাংসে! তাই নিজেই খুনি হয়ে যায় নাটালিয়া বকশিবা। নিজের স্বামীকেও তাতে সামিল করে। এই মুহূর্তে তাদের ঘিরে উত্তাল সারা দুনিয়া।
রাশিয়ার নাগরিক নাটালিয়া বকশিবা (৪৩)। তার স্বামী দিমিত্রি বকশিবা (৩৫)। খুনি সন্দেহে গত বছর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে তদন্ত চলছিল। তার মধ্যেই তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে সেদ্ধ করা নরমাংস উদ্ধার করে পুলিশ। রেফ্রিজারেটরথেকে মেলে কাঁচা মাংসও। এ ছাড়াও রান্নাঘরে কাচের বয়ামের মধ্যে টুকরো টুকরো নরমাংস উদ্ধার হয়।
তা নিয়ে চেপে ধরতে সম্প্রতি ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত বছর অক্টোবরে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে খুন করে তাদের মাংস খেয়েছে নাটালিয়া। তার শেষ শিকার ছিল রেস্তরাঁকর্মী ৩৫ বছরের এলেনা ভাশ্রুশেবা। দিমিত্রির সঙ্গে ওই মহিলাকে ফ্লার্ট করতে দেখে সে। তাতেই মেজাজ হারায়। স্বামীকে বাধ্য করে ওই মহিলাকে খুন করতে।
আরও পড়ুন: হলোকস্ট বিভীষিকাই, মনে করাচ্ছে রঙিন ছবি
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে বিপুল সাহায্য আমেরিকার
স্ত্রীর কথা মতো এলেনাকে নির্জন জায়গায় ডেকে পাঠায় দিমিত্রি। ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। যার পর তাঁর দেহ টুকরো টকুরো করে কেটে ফেলে দিমিত্রি। কাটা দেহর সঙ্গে প্রথমে নিজস্বী তোলে। তারপর সেগুলি ব্যাগে ভরে বাড়ি নিয়ে যায়। ওই মহিলার দেহাংশই তাদের রেফ্রিজারেটর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রুশ তদন্তকারীদের দাবি, কোনওরকম মানসিক রোগ নেই নাটালিয়ার। বরং ঠান্ডা মাথাতেই সবকিছু ঘটিয়েছে সে। স্ত্রীর অপরাধে সামিল হলেও দিমিত্রি একটু ভিতু প্রকৃতির। তারওপর ছড়ি ঘোরাত নাটালিয়া। জোর করে তাকে দিয়ে খুন করিয়েছে সে। আদালতে নাটালিয়ার শুনানি চলছে। তার ১৫ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে বলে জল্পনা। সম্প্রতি দিমিত্রির যক্ষ্মা ধরা পড়েছে। চিকিত্সা সম্পন্ন হলে তার শুনানি শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy