ছবি: রয়টার্স।
টুইটারে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট চিরতরে বন্ধ হলেও দমে যাননি আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং দ্বিগুণ উৎসাহে তাঁর হুঙ্কার, এ বার নিজস্ব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলবেন।
ওয়াশিংটন ডিসি-তে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকের হামলার পর ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ক্যাপিটলে হামলার আগে ওয়াশিংটনে জড়ো হওয়ার সমর্থকদের উদ্দেশে কংগ্রেস-অভিযানের বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ট্রাম্পের সেই ভাষণই তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটল-হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে। পাশাপাশি, হামলার পরেও টুইটারে একাধিক উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে থাকেন তিনি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টেই জো বাইডেনের নির্বাচনে জয়ের কৃতিত্বকে খাটো করে হামলাকারীদের ‘মহান দেশভক্ত’ বলে আখ্যা দেন তিনি। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের উদ্দেশে তাঁর টুইট, ‘আমরা নিশ্চুপ থাকব না’। এর পরই ওই টুইট মুছে দেয় টুইটার। পাশাপাশি, হিংসায় ইন্ধনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করে টুইটার।
আরও পড়ুন: টুইটারে ট্রাম্পকে নিষেধাজ্ঞা, সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব কার্যকর হতে পারে কি?
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টুইটারে একটি ভিডিয়ো-বার্তায় ‘শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের’ কথা বলেন ট্রাম্প। তবে সুর নরম করলেও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারি করে টুইটার। ওই মাইক্রো ব্লগিং সাইট কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক টুইটগুলো খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করার পর চিরতরে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ট্রাম্পের টুইটের যে অর্থ বার হয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তা হিংসায় আরও ইন্ধন জোগাতে পারে’। এই টুইটের পর ট্রাম্পের প্রায় ৯ কোটি ফলোয়ারের সামনে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর অ্যাকাউন্ট এখনও বন্ধ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy