Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Davos

হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার তাগিদে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করছেন মোদী, দাভোস থেকে তোপ ধনকুবের সোরসের

তিনি বলেন, “কাশ্মীরের মতো মুসলিম প্রভাবিত অঞ্চলে মোদী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ একটা বড় আশঙ্কার বিষয়।”

জর্জ সোরস। ছবি: এএফপি।

জর্জ সোরস। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
দাভোস শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ১২:১৮
Share: Save:

দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম-এর মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করলেন মার্কিন-হাঙ্গেরীয় ধনকুবের জর্জ সোরস। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় গণতন্ত্রকে মোদী ‘ধ্বংসের মুখে’ ঠেলে দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন সোরস।

তিনি বলেন, “কাশ্মীরের মতো মুসলিম প্রভাবিত অঞ্চলে মোদী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ একটা বড় আশঙ্কার বিষয়। মোদীর হিন্দু রাষ্ট্র বানোনোর তাগিদে দেশের লাখ লাখ মুসলিমকে তাঁদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন।” সরাসরি না বললেও তিনি যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের কথাই বলতে চেয়েছেন, সোরসের মন্তব্য থেকে তা স্পষ্ট।

ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের এই মঞ্চ থেকেই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশগুলোকে। বিশ্বজুড়ে কী ভাবে রাষ্ট্রনেতারা একনায়কতন্ত্রকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন সোরস। এর পরই ভারতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদীর শাসননীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নিয়ে অনন্ত লড়াই চলতে পারে না: বোবডে

আরও পড়ুন: ‘সুভাষচন্দ্রের আজাদি ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি’

৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল সরব হলেও পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছিল বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ। সিএএ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে দেশের অভ্যন্তরে যে ভাবে এই আইনের বিরোধিতায় একটা সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে ভাবে জনমত নির্বিশেষে সকলেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন, তা নিয়ে মোদীকে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সমালোচনাটা এত দিন সীমাবদ্ধ ছিল দেশের অভ্যন্তরেই। এ বার সমালোচনাটা এল দাভোসের মঞ্চ থেকে।

শুধু মোদীই নয়, সোরসের নিশানায় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তাঁকে এক জন প্রতারক হিসেবেও উল্লেখ করেছেন সোরস। নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে ট্রাম্প দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতেও ইতস্তত করেন না বলেও দাবি সোরসের। শুধু তাই নয়, ভোটে জেতার জন্য ট্রাম্প যা খুশি করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

পরিবেশের বিপন্নতা এবং বিশ্ব জুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা নিয়েও মুখ খোলেন সোরস। তাঁর দাবি, এটা অতিশয়োক্তি হবে না যে, ২০২০ এবং আগামী বছরগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর ভবিতব্যই শুধু নির্ধারণ করবে না, সঙ্গে গোটা বিশ্বেরও ভবিষ্যত্ নির্ধারিত করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE