ছবি এএফপি।
ইরানকে কেন্দ্র করে গোটা পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি এখনও বেশ জটিল। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করলেন, তাঁদের সঙ্গে খুব শীঘ্রই কথা বলতে চাইবে ইরান সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইটারে লিখেছেন, ‘‘এ নিয়ে (ইরানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব) অনেকেই অনেক মত দিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমিই নেব। সেটা খুবই সোজা। আমার বিশ্বাস ইরান খুব শীঘ্রই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইবে।’’
গত কালই ইরানের প্রতিবেশী দেশ ইরাকে মার্কিন কনসুলেট ও দূতাবাস থেকে বেশ কিছু কর্মী সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু ইরান নীতি নিয়ে হোয়াইট হাউসের আধিকারিকেরা দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই রিপোর্ট ফের উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসনের অন্দরে এমন কিছুই হয়নি। যদিও মার্কিন কংগ্রেসে বেশ কিছু ডেমোক্র্যাট নেতা দাবি করেছেন, ইরান নীতি নিয়ে তাঁদের অন্ধকারে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁদের দাবি, প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন যে কোনও ভাবে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চান। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেস সেই অনুমতি কখনওই দেবে না। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এবং ইরান সরকার জানিয়েছে তারা যুদ্ধ চায় না।
মুখ খুলেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জ়ারিফও। ভারত সফর সেরে তিনি এখন জাপানে। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা তাঁদের সঙ্গে যা করেছে, তা অনৈতিক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গোটা উত্তেজনাটা বাড়িয়েছে আমেরিকা। যত সম্ভব সংযম আমাদের দেখানো উচিত, আমরা দেখিয়েছি।’’
এরই মধ্যে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় আজ হুথি জঙ্গিদের নিশানা করে বিমানহানা চালায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। কাল আমেরিকার দীর্ঘদিনের বন্ধু সৌদি আরব দাবি করেছিল, তাদের দু’টি পাইপলাইনে ড্রোন হামলা হয়েছে। তার দায় নেয় হুথিরা। আজ তারই পাল্টা হিসেবে সানার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরপর বিমান হামলা চালায় সৌদি জোট। নিশানায় ছিল হুথি জঙ্গিদের ঘাঁটিও। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, চার শিশু-সহ ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে ওই হামলায়। আহত অনেকে। সৌদি পাইপলাইনে ড্রোন হামলার কড়া সমালোচনা করেছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy