প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ভেনিজুয়েলায়। ছবি: এএফপি।
বেশ কিছু দিন ধরে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছিলেন ভেনেজুয়েলার মানুষ। বুধবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অস্বীকার করে কার্যত সেই আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিল আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশির ভাগ দেশ। পরিবর্তে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গাইডোকে দেশের অন্তর্বর্তিকালীন এবং একমাত্র আইনানুগ প্রেসিডেন্ট হিসেবে কূটনৈতিক মান্যতা দিয়েছে আমেরিকা। এই বিরোধী নেতাকে সমর্থন জুগিয়েছে ব্রাজ়িল, কলম্বিয়া, চিলে, পেরু, আর্জেন্টিনার মতো ভেনেজুয়েলার পড়শি দেশগুলিও।
ক্ষমতায় আসার পরে কখনও এত বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হননি নিকোলাস মাদুরো। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত মাদুরো এ দিন আমেরিকার সঙ্গে সব রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। আগামী ৭২ ঘণ্টায় মার্কিন কূটনীতিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে তাতে কান দিচ্ছে না আমেরিকা। তাদের মতে, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা বা মার্কিন কূটনীতিকদের বিতাড়িত করার এক্তিয়ার নেই মাদুরোর। মাদুরোর হুমকির উত্তরে কাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেন, ‘‘এখনই কিছু করছি না। তবে সব রাস্তাই খোলা রয়েছে। ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমেরিকা সব রকম ভাবে তৈরি।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘মাদুরো ও তাঁর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার মানুষ এত দিনে মুখ খোলার সাহস দেখিয়েছে। স্বাধীনতা ও আইনের অনুশাসন চাইছে তারা।’’
২০১৩ সালে উগো চাভেসের মৃত্যুর পরে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে ক্ষমতায় আসেন মাদুরো। স্বৈরাচারের অভিযোগ তুলে মাদুরোর অপসারণের দাবিতে সম্প্রতি কারাকাসের পথে নামে জনতা। এমনকি বিক্ষোভ দেখায় সেনাও। তবে মাদুরো সরকার সব অস্বীকার করে এসেছে। আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বহু দেশ গাইডোকে সমর্থন জোগালেও বরাবরের মতো এখনও মাদুরোর পাশে রয়েছে রাশিয়া, মেক্সিকো এবং কিউবা। মাদুরোকে সমর্থন জানিয়ে আজই তাঁকে ফোন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, দেশের বৈধ শাসকের পাশেই রয়েছে তারা। চিনও বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার এই রাজনৈতিক সঙ্কটের দিনে যে কোনও বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy