প্রতীকী চিত্র
ভেবেছিলেন কানে জল ঢুকেছে। তেমনই অনুভূতি হচ্ছিল মহিলার। মঙ্গলবার যখন ঘুম থেকে উঠলেন তখন কানের মধ্যে অদ্ভুত শব্দ হচ্ছিল। একসময় তাঁর ধারণা হয়েছিল, অ্যালার্জি থেকেও এমন হতে পারে। কিন্তু অবশেষে যা আবিষ্কার হল, তাতে আঁতকে উঠলেন চিকিত্সকরাও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির কানসাসের বাসিন্দা সুসি টোরেস। কয়েক দিন ধরে তাঁর বাঁ কানে অস্বস্তি হচ্ছিল। ভেবেছিলেন সামান্য জল ঢুকেছে হয়তো তাই শুনতেও একটু অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা না কমায় চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে যান।
সুসি হাসপাতালে পৌঁছলে, কান পরীক্ষা করেন এক চিকিত্সাকর্মী। কানের ভেতরে আলো ফেলে দেখেইভয়ে পালিয়ে যান। ওই মহিলা চিকিত্সা সহযোগী ডেকে আনেন তাঁর আর এক সহকর্মীকে। সুসি প্রথমে ভেবেছিলেন, চিকিত্সা সহযোগী মনে হয় কানের মধ্যে ছারপোকা দেখতে পেয়েছেন। তিনি নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে আবিষ্কার হয়, ছারপোকা নয় সেটি একটি বিষাক্ত মাকড়সা।
আরও পড়ুন : ‘হিরো’ কাকের আচরণ দেখেশেখা উচিত মানুষের!
আরও পড়ুন : আমাজনে দাবানলের পুরনো ছবি পোস্ট করলেন লিওনার্দো, মাকরঁ
চিকিত্সকরা সুসিকে জানান তাঁর কান থেকে ছোট্ট বাদামি রঙের এক ধরনের বিষাক্ত মাকড়সা বেরিয়েছে। তবে সুসির ভাগ্য ভাল মাকড়সাটি তাঁকে কামড়ায়নি। কামড়ালে ফল মারাত্মক হতে পারত। এই মাকড়সাগুলি কামড়ালে পেশির যন্ত্রণা, শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হয়। এই মাকড়সাগুলি সাধারণত আক্রমণাত্মক স্বভাবের নয়। তবে যদি মনে হয় তারা কোনও ফাঁদে পড়েছে, তাদেরকে ধরার বা মারার চেষ্টা হচ্ছে তবে তীব্র কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে।
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, কানের মধ্যে ছারপোকা বা অন্য কিছু ঢুকে পড়লে হাল্কা গরম তেল দিয়ে কীটপতঙ্গগুলিকে বের করে আনা উচিত। আর সুসি জানিয়েছেন, তিনি এখন কানে তুলো গুঁজে শুতে যাচ্ছেন, যাতে আর কোনও মাকড়সা বা ছারপোকা না ঢুকে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy